৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ‘শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষক’ এই বিষয়ে প্রতিপাদ্য করে এ বছর পালিত হচ্ছে দিবসটি।
শিক্ষা পুনরুদ্ধারে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। সেই সঙ্গে শিক্ষার মূল ভিত্তি মজবুত করতে শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের বোঝাপড়াটাও ভালো থাকা প্রয়োজন। তবেই শিক্ষার পুনরুদ্ধার সম্ভব। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভূমিকাটাই সবচেয়ে বেশি থাকে। যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখেন, তার দেওয়া শিক্ষা সহজেই গ্রহণ করে শিক্ষার্থী।
মূলধারার কাঠামোগত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা ভালো সাড়া দেয়। শিক্ষকদের উচিত তাদের প্রত্যাশা ছাত্রদের কাছে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা। নিয়মের মধ্যে থেকে শিক্ষা দিতে হবে। এটি শিক্ষার্থীকে নিয়ম মেনে চলার দিকে আগ্রহী করবে।
শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের উৎসাহ ও আবেগের সঙ্গে শেখানো। এটি ক্লাসে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করবে। কার্যকর শিক্ষাবিদ তারাই যারা তাদের ক্লাসের সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা হওয়ার দক্ষতা রাখে। ইতিবাচক ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের বিকাশ হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা এবং শিক্ষার্থী শিক্ষার মূলমন্ত্র।
শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করা। ইতিবাচক মনোভাব নিজের অনুভূতিকে উৎসাহিত করে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সহযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহিত করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যর্থতার ভয়ে সীমাবদ্ধ থাকে না। তাদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বাড়ে।
শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের অনুপ্রেরণা দিয়ে সাহায্য করা। লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া।
শিক্ষার বিষয়টি সহজ করতে মজার ছলে শিখিয়ে নিন। অনেক কঠিন বিষয়ও শিক্ষার্থীদের সহজে আয়ত্তে আসবে। সেই সঙ্গে ভালো সম্পর্কও গড়ে উঠবে।
শিক্ষার্থীর ভালো ফলাফল ও ভালো কাজের প্রশংসা করতে হবে। শিক্ষকদের প্রশংসা পেলে শিক্ষার্থীরা সহজেই অনুপ্রাণিত হয়। তাই শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের প্রশংসা করা। যে শিক্ষক ছাত্রদের সম্মান করেন, তারা তাদের ছাত্রদের কাছ থেকে আরও বেশি সম্মান পাবেন।
শিক্ষক-ছাত্রের ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সময় ও প্রচেষ্টার প্রয়োজন। সম্পর্ক যত ভালো হবে শিক্ষার আলো তত ছড়িয়ে পড়বে।