মাথার চুল ঝরে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। কমবেশি সবাই এই সমস্যায় ভোগেন। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে চুল পড়ার প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে নানান ওষুধের প্রয়োগ এবং মানসিক চাপের কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনটা হতে পারে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরাও একই তথ্য দিচ্ছেন। তাদের মতে, করোনার পর চুল পড়ার ঘটনাটি স্বাভাবিক। ৮০ শতাংশ মানুষেই কোভিড থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে অন্তত ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে। এর মধ্যে চুল পড়া সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অংশ।
শুধু তা-ই নয়, একাধিক গবেষণায়ও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে, চুল পড়ায় করোনা থেকে সুস্থ বা আক্রান্তের পর যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় এর মধ্যে চুল পড়া অন্যতম। বিশেষ করে মহামারির ফলে সৃষ্ট মানসিক চাপের কারণেও চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন অনেকে।
কোভিডের পর চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু উপায়ের কথা জানিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ।
প্রতিদিন দুটি করে আমলকী খান। আমলকী কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার জুস করেও খেতে পারেন।
খাবারের তালিকায় যথাসম্ভব সুষম খাবার রাখুন। এই সময় শরীরে অধিক পুষ্টির প্রয়োজন।
প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার চুলে নারকেল তেল বা অলিভ ওয়েল লাগিয়ে নিন। চুলের অভ্যন্তরীণ পুষ্টির পাশাপাশি বাইরের চাকচিক্যও ধরে রাখবে।
প্রতিদিন বাদাম এবং দানাশস্য খাওয়ার চেষ্টা করুন। পানিতে ভেজানো কিশমিশ, ১টি ডুমুর এবং ৪টি বাদাম প্রতিদিন খান।
মহামারিতে নানা চিন্তা মানুষকে গ্রাস করে। এই মানসিক চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমাতে যাওয়া দুটোই চুল পড়া রোধ করে।
চেষ্টা করুন প্রতিদিন সময় করে সূর্যের আলো গায়ে মাখাতে। এতে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত।
একই সময়ে প্রতিদিন খাবার খাবেন। সময়টা কমবেশি যেন না হয়, খেয়াল রাখুন। সুস্থ দেহের পূর্ব শর্ত খাবার সঠিক সময়ে গ্রহণ করা। এতে শরীরে প্রতিটি অংশ সঠিক পুষ্টি পায়।
ঘুমের সময় নাসারন্ধ্রতে দুই ফোঁটা ঘি লাগিয়ে নিন। এতে ভালো ঘুম হবে।
প্রতিদিন অবশ্যই ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
চুল পড়ার বিষয়েও চিন্তা করবেন না। চিন্তা কমে গেলে চুল পড়াও কমে যাবে।
সপ্তাহে এক দিন চুলে হেনা লাগিয়ে নিন। অ্যালোভেরাও ব্যবহার করতে পারেন।