ঋতুবদলের সঙ্গে পোশাকের ধরনও বদলে যায়। শীতে শীতের পোশাক এবং গরমে আরামদায়ক পোশাকই নির্বাচন করা হয়। গরমে অনেকে শাড়ি পরতেও স্বাচ্ছদ্যবোধ করেন। বিশেষ করে অনুষ্ঠানে যেতে নারীদের প্রথম পছন্দ শাড়ি। গরমে অনুষ্ঠানে কেমন ধরনের শাড়ি পরবেন তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। কেমন শাড়ি পরবেন, কোন রং বাছাই করবেন, কোনটি পরলে আরাম পাওয়া যাবে তা ভেবেই শাড়ি নির্বাচন করতে হয়, যা বাঙালি নারীর রূপ ফুটিয়ে তুলবে!
গরমে বা বর্ষাকালে শাড়ি পরার জন্য় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়, কোনটিতে নারীর সৌন্দর্য ফুটে উঠতে তা জানাব এই আয়োজনে।
বৃষ্টির দিনে বা গরমে শাড়ি পরতে ইচ্ছা করছে। খেয়াল রাখুন যেন শাড়িতে চলাফেরা করতে অসুবিধা না হয়। ভারী সুতির শাড়ি অনেক সময়ে পায়ে জড়িয়ে যায়। তাই শাড়ি যত হালকা হবে ততো আরাম পাবেন। গরমে হালকা শিফন, সেমি সিল্ক, জর্জেটের শাড়ি পরতে পারেন। সুতি শাড়ি পরলেও তা যেন নরম কাপড়ের হয়।
গরমে বা বর্ষার দিনে শাড়ির রং খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে হালকা রঙের শাড়ি পড়তে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু গরমের সময় উজ্জ্বল রঙের শাড়ি বেছে নেওয়া ভালো। এটিই বেশি মানানসই। রঙের মধ্যে লাল, হলুদ, কমলা, গোলাপি, বেগুনি, নীল রঙের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। এসব রঙের বিভিন্ন শেড বেছে নিন। এতে শাড়িতে কাদা বা ময়লা গেলেও তা তুলতে সমস্যা হবে না।
গরমে সুতো, জরি, চুমকির ঝাপটানো কাজ করা শাড়ি পরবেন না। এসব শাড়িতে গরমে আপনি অস্বস্তিবোধ করবেন। বৃষ্টিতে নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তাই হালকা সুতোর কাজের বা প্রিন্টের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। গাঢ় রঙের শাড়িতে হালকা সুতোর কাজের শাড়ি পরে দেখুন। চমতকার মানিয়ে যাবে।
জুম শাড়িতে লিলেন সুতা ও সিল্ক সুতার মিশ্রণ থাকে। কিছুটা নেট জাতীয় এই শাড়ি। হ্যান্ডলুম এই শাড়িগুলো দেশীয় সুতা দিয়ে বোনা হয় না। তাঁতীরা কোরিয়া থেকে আমদানি করা এক ধরণের লিলেন সুতো ব্যবহার করেন এই শাড়িতে। যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো গায়ে মিশলে ঠান্ডা অনুভব হয়। তাই গরমের জন্য় এই শাড়ি আরামদায়ক।
বাঙালি নারীর প্রিয় জামদানি শাড়ি। গরমে কোনো অনুষ্ঠানে যেতে জামদানি শাড়ি হতে পারে সেরা পছন্দ। ফুলপাতার নকশায় নানা রঙের জামদানি শাড়ি পাওয়া যায়। সূক্ষ্ম সুতোর কাজ করা এই শাড়িতে নিজের ব্যক্তিত্বও ফুটে উঠে। সিল্কের সুতোর কাজ করা জামদানিও এখন বেশ প্রচলিত। পছন্দসই বেছে নিন। গরমে জামদানি শাড়ি হতে পারে আপনার নিত্য সঙ্গী।