পূজার দিনগুলোয় নতুন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুলের স্টাইলটা কেমন হবে, তা নিয়েই চলতে থাকে নানা জল্পনাকল্পনা। একেক রকম পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজটাও তো মানানসই হওয়া চাই। সব সময় হয়তো পারলারে গিয়ে চুল বাঁধার সময় হবে না। তাই বাড়িতেই আনতে পারেন চুলের সাজে বৈচিত্র্য।
কোঁকড়া চুলে
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সামনের চুলগুলোকে পাফ করে নিতে পারেন। এবার ব্যাককোম্ব করে পেছনে পনিটেল বেঁধে পেছনের চুলগুলোকে ক্রিম্প করে দিন। মুখে ফেস পাউডার লাগিয়ে হালকা ব্লাশন পরুন। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চোখের সাজে ব্যবহার করতে পারেন গাঢ় রঙের আইশ্যাডো। কানে পরতে পারেন অ্যান্টিকের দুল।
বেণির বাঁধন
রাতের সাজে বেছে নিতে পারেন সংস্কৃত হরফের নকশায় তৈরি এই শাড়িটি। এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে চুলগুলোকে একটু উঁচু করে পনিটেল করে নিন। পনিটেল করা চুলগুলোকে দুই ভাগ করে নিন। এবার এক ভাগ চুল দিয়ে আলতো বেণি করে নিন, আরেক ভাগ চুল পেঁচিয়ে মুড়িয়ে নিন বেণির গোড়ায়। শাড়ির রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরতে পারেন নেটের তৈরি লম্বা হাতার ব্লাউজ।
খোঁপায় স্বস্তি
ঘুরতে ঘুরতে গরমে যদি খোলা চুলে অস্বস্তিই আসে, তবে একদিকে এভাবে করে বাঁধতে পারেন চুল। এ জন্য সামনের চুলগুলো আগে থেকেই হালকা কোঁকড়া করে নিন। বাইরে যখন খোলা চুলে অস্বস্তি আসবে তখন এক পাশে বেঁধে নিতে পারেন এমন স্টাইলিশ খোঁপা।
স্কার্টে খোলা চুল
দিনের বেলা বা বিকেলে বের হলে স্কার্ট-টপ পরতে পারেন। এক পাশে সিঁথি কেটে সামনের চুলগুলোকে টুইস্ট করে বেঁধে নিন। ব্লো ড্রাই করে ছেড়ে দিন পেছনের চুলগুলোকে। এই ধরনের চুলের সঙ্গে চোখে ঘন করে কাজল দিয়ে মাশকারা লাগান। চোখকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কৃত্রিম আইল্যাশও পরতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে লাগাতে পারেন ম্যাট কোনো লিপস্টিক।