গরমের দিন মানেই চুল নিয়ে বাড়তি চিন্তা! একে তো গরমের বিশ্রী ধুলো আর ঘাম, তার সঙ্গে চুলের রুক্ষভাব তো আছেই। সব মিলিয়ে গরম এলেই খুসকি, ডগাফাটা চুল আর চুলের রুক্ষতাও যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়ে। বাতাসের আর্দ্রতা এই সময় বেশি থাকায় চুল নেতিয়েও থাকে। কাজেই এই গরমের দিনগুলোয় চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুব দরকার। আজ থাকছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুনের পরামর্শ।
চুলেরও চাই এসপিএফ
শুধু মুখে সানস্ক্রিন মাখলেই হবে না, একই যত্ন দরকার আপনার চুলেরও। বাড়ির বাইরে পা দেওয়ার আগে চুলে আর স্ক্যাল্পে সানস্ক্রিন লাগিয়ে মাসাজ করে নিন।
চুল বেঁধে রাখুন
গরমে খোলা চুল মানেই প্রচণ্ড অস্বস্তি। তাই চুলটা বেঁধে রাখাই ভালো। বাহারি স্কার্ফ বা টুপিতে ঢেকে রাখুন চুল।
শ্যাম্পুর কেরামতি
চুলের সম্পূর্ণ দেখভাল করতে নারিশিং শ্যাম্পু মাখুন। নারকেল, শিয়া বাটার, আর্গান অয়েল-বেসড শ্যাম্পু চুলের পক্ষে ভালো। একই সঙ্গে শ্যাম্পু ঠিকমতো লাগানোও সমান জরুরি। চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে ঘষে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত শ্যাম্পুতে চুল রুক্ষ হবে না।
চুলের আর্দ্রতা রক্ষা জরুরি
১. গরম আর ঘাম চুল এতটা চটচটে করে দেয় যে, মনে হয় রোজ শ্যাম্পু করি। কিন্তু তাতে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। সপ্তাহে তিনবারের বেশি কোনোমতেই শ্যাম্পু করবেন না। আর প্রতিবার কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন। চুল ডিপ কন্ডিশনিং করতে কন্ডিশনারের বদলে হেয়ার মাস্ক লাগান। ঘরোয়া হেয়ার প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। ডিম, দই আর মধু দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক শুকনো বিবর্ণ চুলের জন্য খুব উপকারী।
২. আর্দ্রতা চুলের গভীরে ধরে রাখতে কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি থেরাপিউটিক হেয়ার অয়েল মাসাজ করতে পারেন। নারকেল, অলিভ আর আমন্ড অয়েল চুলের স্বাস্থ্য আর বাড়বৃদ্ধির পক্ষে খুব ভালো। সাত দিন বা চোদ্দো দিন অন্তর চুলে অয়েল মাসাজ নিন।
৩. হাতের কাছে রাখুন হাইড্রেটিং হেয়ার মিস্ট। রুক্ষতার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করবে এই মিস্ট। অ্যালোভেরা জেলে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিলেও দারুণ ঘরোয়া হেয়ার মিস্ট পেয়ে যাবেন।