ডিমের কুসুমের রং হলুদ বা কমলা হয় কেন? কোনটি বেশি পুষ্টিকর?

ঝুমকি বসু প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম

ডিমের খোসা হয়ে থাকে নানা রঙের। সাদা, নীলচে, লালচে, গোলাপি, হলদেটে, সাদা-কালো ছোপ ছোপ, সবুজাভ ইত্যাদি। এটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি ডিমের কুসুমের রং হালকা বা গাঢ় হওয়াটিও স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কেন ডিমের কুসুমের রং ভিন্ন হয়ে থাকে, সেটা জানেন কি?

মানুষ সাধারণত মুরগির ডিম বেশি খায়। ডিমভেদে মুরগির ডিমের কুসুম হালকা হলুদ থেকে গাঢ় কমলা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এমনটা হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে অনেকেই ভাবেন, মুরগির ব্রিড বা প্রজাতি এ ক্ষেত্রে দায়ী। আদতে তা নয়। মুরগির প্রজাতিভেদে ডিমের খোলসের রঙের ওপরেই শুধু প্রভাব পড়ে; কুসুমে নয়। মূলত মুরগির খাদ্যাভ্যাসের জন্য ডিমের কুসুমের রং পাল্টে যায়। যেসব মুরগির খাবারে হলুদ-কমলা রঙের খাবার প্রাধান্য পায়, সেসব মুরগি গাঢ় রঙের কুসুমসহ ডিম দেয়।

ডিমের কুসুমের রঙের ভিন্নতার বিষয়টি তো জানা হলো। তবে অনেকেই জানতে চান, কোন রঙের  কুসুমের পুষ্টিগুণ বেশি? রঙের ভিন্নতার ওপর ডিমের গুণাগুণের তারতম্য হয় কি না?

জেনে অবাক হবেন, কুসুমের রঙের ওপর ডিমের পুষ্টিগুণ নির্ভর করে না। যদিও অনেকেই ধারণা করেন, ডিমের কুসুমের রং যত গাঢ় হবে, পুষ্টিগুণও ততটাই বেশি হবে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, গাঢ় কমলা রং ও হালকা হলুদ রঙের কুসুমে সমপরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। কিছু ক্ষেত্রে গাঢ় রঙের কুসুমে ভিটামিনের মাত্রা বেশি ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকতে পারে। এছাড়া কুসুমের রঙের ওপর স্বাদের কিছুটা তফাত হতে পারে। গাঢ় রঙের কুসুমের ডিম হালকা রঙের কুসুমের ডিমের চেয়ে কিছুটা সুস্বাদু মনে হতে পারে অনেকের কাছে। তবে সেটি সর্বজনগ্রাহ্য বিষয় নয়।