ঋতুচক্রে আর কদিন পরই শুরু হবে ভাদ্র মাস। বর্ষাকাল চলছে। আবহাওয়া এই গরম, এই ঠান্ডা। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলে ঠান্ডা লাগছে। তবে গরমের তীব্রতাই বেশি। এমনকি প্রচণ্ড দাবদাহে শরীরে অনবরত ঘামও হচ্ছে। ঘাম থেকে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘাম বসে ঠান্ডা লাগাটা স্বাভাবিক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গরমে প্রচুর ঘাম হয়। এই ঘাম যদি শরীরেই বারবার শুকায় কিংবা ঘামে ভেজা কাপড় পরে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে, যা সাধারণ ঘটনা। তাই গরমে ঘাম থেকে ঠান্ডা লাগা এড়িয়ে যেতে কিছু সতর্কতা মেনে চলুন।
ঠান্ডা লাগা জটিল রোগ না হলে তা বিরক্তিকর। হাঁচি-কাশি বেড়ে যায়, নাক বন্ধ হয়ে যায়, মাথাব্যথা হয়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকলে ঠান্ডা সহজে ভালো হয় না। তা ছাড়া অ্যালার্জিজাতীয় সমস্যা থেকেও ঠান্ডা বাড়তে পারে। তাই গরমে ঠান্ডা লেগে গেলে কিংবা ঠান্ডা না লাগার জন্য বেশ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
নিতান্ত প্রয়োজন না হলে রোদে বের হবেন না। সূর্যের তাপে বের হতে হলে ছাতা ব্যবহার করুন।
দুপুরে রোদের তীব্রতা বেশি থাকে। এই সময় শারীরিক পরিশ্রমের কাজগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। বেশি বেশি পানি পান করুন। এটি ঘাম হয়ে বেরিয়ে যাওয়া পানি এবং লবণের ঘাটতি পূরণ করবে। শরবত ও ফলের রস খাবেন।
ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। জমকালো পোশাক এড়িয়ে চলুন।
গরমে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে মাংস খাওয়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। এতে শরীরে ঘামের পরিমাণ বেড়ে যায়।
চুল বড় থাকলে মাথার ত্বক বেশি ঘামে। যা থেকে ঠান্ডা লেগে যায়। তাই এই সময় চুল ছোট রাখুন। বড় চুল বেঁধে রাখাই ভালো।
ঘাম হলেই সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিন। রুমাল বা তোয়ালে ব্যবহার করুন। ঘাম মুছে নিলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে যাবে। গলা, ঘাড়ে ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গেই রুমাল দিয়ে মুছে নিন।
পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের জ্বালাভাব কমবে। ঘাম কম হবে।
বাইরে থেকে এসেই ঘাম নিয়ে গোসলে যাবেন না। একটু বিশ্রাম নিন। ঘাম শুকিয়ে বা মুছে নিয়ে এরপর গোসল দিন।
গরমে ঠান্ডা লাগলে অনেকের নাক বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে গামলায় গরম পানি নিন। এতে কয়েক ফোঁটা মেনথল দিয়ে নিতে হবে। মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন। মেনথলের ভাপ নিন। নাক দিয়ে যতটা সম্ভব টানুন। দেখবেন নাক খুলে গেছে। অস্বস্তিও লাগবে না।
আদা, লেবু–চা পান করুন। এটি ঠান্ডা থেকে আরাম দেবে। তা ছাড়া রসুন, গোলমরিচ ও গরম মসলা দিয়ে পানি ফুটিয়েও খেতে পারেন।
অ্যালার্জির কারণে ঠান্ডা লাগলে বেশি দিন অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।