মৌসুমে দেশি ফলের চাহিদা বেশি থাকে। তবে বিদেশি ফল খাওয়াও বাদ যায় না। বিশেষ করে ঘরে ঘরে এখন ড্রাগন ফলের চাহিদা বেড়েছে। ছোটদের পছন্দের তালিকায় সবার আগে থাকে ড্রাগন ফল। এই ফলের লাল টকটকে রং আর স্বাদ খাওয়ার কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দেয়।
বিদেশি ফল হলেও দেশেই এখন ড্রাগনের ফলন হচ্ছে। তাই বাজার ঘুরলেই ফলটি এখন চোখে পড়বে। ড্রাগন একধরনের ক্যাকটাসজাতীয় বিদেশি ফল। এট স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এই ফল ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। হজমে সহায়তা, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ এই ফল ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।
ড্রাগন ফলটি ওপরে শক্ত হলেও ভেতরটা নরম হয়। ফলটি দু্ই ভাগে কেটে চামচের সাহায্যে সহজেই খাওয়া যায়। ভেতরের শাঁস খেতে বেশ সুস্বাদু। শুধু তা-ই নয়, মিল্কশেক কিংবা স্মুদি বানিয়েও ড্রাগন ফলটি খেতে পারেন। গরমে বেশ তৃপ্তি দেবে। এই গরমে ড্রাগন ফলে কুলফিও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। গরমের প্রশান্তি পেতে ড্রাগন ফলের কুলফি ঘরে বানিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই। চলুন জেনে নিই ড্রাগন ফলের কুলফি বানানো সহজ রেসিপিটি।
প্রথমে ড্রাগন ফলটি দুই ভাগ করে চামচ দিয়ে শাঁস কেটে নিন। শাঁসগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এটি ছেঁকে রস আলাদা করুন। ড্রাগনের রসের সঙ্গে গুঁড়া দুধ, কনডেন্স মিল্ক, পানি ও কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি চুলায় দিয়ে জ্বাল দিন। ঘন হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। ঘন হলে চুলা বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি কিছুটা ঠান্ডা করুন। এবার মিশ্রণটি সঙ্গে ফ্রেশ ক্রিম ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।
ব্লেন্ড করার পর মিশ্রণটি কুলফির ডাইসে ঢেলে নিন। পুরোপুরি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ডিপ ফ্রিজে রাখুন। পুরোপুরি জমাট বাধা পর্যন্ত আপেক্ষা করুন। অন্তত ছয় ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর বের করে নিলেই দেখবেন ড্রাগন ফলের কুলফি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। খাওয়ার আগেই ফ্রিজ থেকে বের করুন এবং পরিবেশন করুন। গরমে তৃপ্তি দেবে এই কুলফি।