ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম জানুন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২, ১১:৫৫ এএম

পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে পালিত হয় ঈদ উল আজহা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে প্রিয় পশুর কোরবানি দেওয়া হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কোরবানি আদায় করে থাকেন। কোরবানির শর্ত অনুযায়ী যার উপর ওয়াজিব হয়েছে তিনিই শুধু কোরবানি দিতে পারেন। সামর্থ্য অনুযায়ী কেউ একাই পশু কোরবানি দেন। কেউ আবার শরিক হয়ে ভাগে কোরবানি দেন। তবে শরিক হয়ে কোরবানি দেওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে।

ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী, একটি গরু, মহিষ, উটকে সর্বোচ্চ ৭ জন অংশীদার কোরবানি করতে পারবেন। তবে ছাগল, খাসি, দুম্বা, ভেড়া একজনের নামেই কোরবানি দিতে হবে। এক্ষেত্রে ৭ জন অংশীদারকে সমানভাবে অর্থ দিতে হবে এবং তাদের মধ্যে কোরবানির পশুর মাংসও সমানভাবে ভাগ করে দিতে হবে। 

এছাড়াও ভাগে বা অংশীদার হয়ে কোরবানির করার পেছনে আরও কিছু নিয়ম রয়েছে। যেগুলো জেনে এবং মেনে কোরবানির ভাগের শরীক হতে হবে। তবেই কোরবানি কবুল হবে। 

  • কোরবানির পশুতে কাউকে শরিক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করতে হবে।  
  • নিজের অর্থে পশু কিনতে হবে। কোরবানির পশুতে প্রত্যেক অংশীদারের অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ অন্যের অংশ থেকে কম হওয়া যাবে না। কোনও শরিক আধা ভাগ এবং অন্যজন দেড় ভাগে অংশ নিলে কোরবানি হবে না। কোরবানি শুদ্ধ করতে সব শরিকদের সমান হতে হবে।
  • উট, গরু, মহিষকে সাত ভাগে বা এর কমে দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগেও কোরবানি করা যাবে। 
  • কোরবানিতে শরিক হওয়া কেউ যদি আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে না দিয়ে গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করেন তবে তা শুদ্ধ হবে না। সেই সঙ্গে অন্যদের কোরবানিতেও শুদ্ধতা থাকবে না। তাই অংশীদার নির্বাচনের আগে যাচাই করে নিন। 
  • কোরবানির টাকা হালাল হতে হবে। অংশীদারদের কারও টাকা হালাল না হলে কোরবানি হবে না। অন্যদের কোরবানিও শুদ্ধ হবে না।
  • কোরবানির গরু, মহিষ ও উটে আকিকার নিয়তে অংশীদার হওয়া যাবে। এতে কোরবানি ও আকিকা দুটোই কবুল হয়। তবে ছেলে সন্তানের জন্য দুই অংশ এবং মেয়ে সন্তানের জন্য এক অংশের ভাগ দেওয়া যাবে।
  • ছোটবেলায় আকিকা না হলে বড় হওয়ার পরও দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে কোরবানির অংশীদার হয়ে নিজের আকিকা নিজেও দেওয়া যাবে। আবার মা-বাবাও দিতে পারবেন।