বর্ষাকালে পায়ের যত্ন নিতে হয়। এই সময় বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ে। রাস্তায় কাঁদা, ধূলোবালিও বাড়ে। যতই সাবধানে চলাফেরা করেন না কেন পায়ে কাঁদা ভরবেই। যা থেকে ধীরে ধীরে পায়ের নখের কোণে ময়লা জমে। পায়ের ত্বক খসখসে হয়ে যায়। এমনকি কাঁদায় বিভিন্ন জীবাণু থাকায় ইনফেকশনও হতে পারে। তাই বর্ষাকালের গরমে পায়ের যত্নে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে।
শুধুমাত্র পানি দিয়ে পা ধুলে নিলেই সমাধান হয় না। সপ্তাহে যখনই সময় পাচ্ছেন পায়ের যত্ন নিন। পায়ের ত্বক মসৃণ থাকবে। পায়ের যত্নে যা করবেন_
বর্ষাকালে বাইরে বের হওয়ার সময় সঠিক জুতা নির্বাচন করুন। পায়ে যেন কোনও ধুলোবালি বা কাঁদা না লাগে এমন জুতা পরুন। কাপড়ের জুতো এবং বন্ধ জুতো না পরাই ভালো।
বর্ষাকালে বাড়িতে ফিরে পা ও জুতা ধুয়ে নিন ভালোভাবে। নখের কোনা, গোড়ালি, আঙুলের ভাঁজ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
ফুট স্ক্রাব করতে পারেন। এক্সফোলিয়েট করলে মসৃণ এবং নরম ত্বক পাওয়া যায়। মুখের ত্বকের মতো পায়ের ত্বকেরও এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। এতে পায়ের মৃত ত্বক অপসারণ হবে। পায়ের ত্বক নরম এবং কোমল হবে।
পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন। পা ধোয়ার পর অবশ্যই ক্রিম ব্যবহার করুন। পায়ের ত্বক ময়শ্চারাইজ না করলে পা ফাটার সমস্যাও হতে পারে।
প্রাকৃতিক উপায়ে পায়ের উজ্জ্বল বাড়াতে পারেন। ফুট প্যাক ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন গরম পানিতে শ্যাম্পু দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
বর্ষাকালে পায়ের নখ ছোট রাখা ভালো। পায়ের নখ বড় থাকলে তা প্রতিদিন গোসলের সময় ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।
বর্ষাকালে অনেকের পায়ে কালো কালো ছোপ দাগ পড়ে। মসুর ডাল বাটা, দুটি আমন্ড বাটা, দুধ ও এক চা চামচ গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে নিন। হালকা গরম পানিতে পা ধুয়ে নিন। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।