নারীরা রূপের প্রশংসা করলে খুশি হয়। কিন্তু কতিপয় পুরুষের অনাকাঙ্খিত মনোযোগ নারীদের জন্য বিরক্তিরও কারণ। সেই বিরক্তি থেকে রেহাই পেতে সৌদী রমণীরা নতুন পন্থা খুঁজে পেয়েছেন। তারা নিজেদের স্বাধীনতা ঠিক রাখতে পাল্টে নিচ্ছেন হেয়ারস্টাইল। এতে নাকি পুরুষদের অনাকাঙ্ক্ষিত মনোযোগ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন সৌদী নারীরা।
জি নিউজ প্রতিবেদনে জানা যায়, সৌদি নারীরা এখন অনেক স্বাধীন। নিজেদের স্বাধীনতা উপভোগ করছেন কর্মক্ষেত্রসহ সবখানে। এমনকি নারীরা এখন সাবলম্বীও হচ্ছেন। সৌদি আরবে কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত নারীরা এখন ছোট চুলের দিকে ঝুঁকছেন। রীতিমতো বয়কাট করছেন তারা। এ ধরনের চুলের ছাঁটকে অনেক সুবিধাজনক বলে মনে করছেন সৌদির কর্মজীবী নারীরা।।
সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমলে কর্মক্ষেত্রে নারীরা অনেকটাই এগিয়ে গেছেন। নারীরা মাথায় হিজাব পরার বাধ্যতামূলক নিয়ম থেকে শিথিলতা পেয়েছেন। কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন কনসার্টে, স্টেডিয়ামে উপস্থিতির সুযোগ পেয়েছেন নারীরা। এমকি গাড়ি চালাতেও পিছিয়ে নেই। সেই হাওয়া লেগেছে সৌদির নারীদের চুলেও। বয়কাট চুলে নিজেকে সাজাতে শুরু করেছেন নারীরা।
সৌদির নারীদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলছে, চুলের বয়কাট কাজের জন্য সুবিধাজনক বলে মনে করছেন তারা। চুলের যত্ন নেওয়ার মতো সময় নেই। সকালে কাজে বের হওয়ার আগে চুলের পরিচর্যা করার সময় থাকে না। তাছাড়া ছোট চুলের মাধ্যমে মেয়েদের শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে বলে বলে মনে করেছেন।
তবে অনেক নারী বয়কাট চুল কাটার আরও একটি কারণ আছে বলেও জানাচ্ছেন। রিয়াদের স্থায়ী বাসিন্দা এক নারী জানান, নারীদের চুলের দিকে পুরুষদের অনাকাঙ্ক্ষিত আকর্ষণ থাকে। সেই আকর্ষণ এড়িয়ে যাওয়া সহজ হয় ছোট চুল থাকলে। কাজেও মনোনিবেশ করা যায়।
রিয়াদের এক পার্লারে চুলের পরিচর্যাকারী লামিস জানান, মেয়েরা ছোট চুল বা বয়কাটের দিকে ঝুঁকছে। ৩০ জন নারীর ১০ জনই বয়কাট করতে আসেন। বয়কাট এখন নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কর্মজীবী নারীরা এই চুল বেশি পছন্দ করছেন।