এসেছে আষাঢ় মাস। মেঘের ঘনঘটা আর বৃষ্টির জলধারা জানান দিয়েছে বর্ষার আগমন। গ্রীষ্মের গরম কাটিয়ে বর্ষার বৃষ্টিতে মিলবে স্বস্তি। পাল্টে যাবে জীবনধারা। আচমকা বৃষ্টির উপস্থিতিতে এখন প্রস্তুত থাকবে সবাই। এই প্রস্তুতি রয়েছে পোশাকেও। গরমের পোশাক যেমন স্বস্তির হয়েছে, বর্ষার পোশাকেও থাকে বৈচিত্র্য। বর্ষার ফ্যাশনকে তুলে ধরা হয় ভিন্ন আঙ্গিকে।
বর্ষার ঝুম বৃষ্টির দৃশ্য দেখতে সবার ভালো লাগে। তবে বাড়ির বাইরে থাকলে সেই বৃষ্টিই হয়ে উঠে বিরক্তির কারণ। তাই মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। বর্ষায় বাড়ির বাইরে গেলেই প্রস্তুত হয়ে নিন সেভাবেই।
আগামী দুই মাস আচমকা বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকুন। কারণ, রোদের মাঝেই হঠাৎ কালো মেঘের দেখা মিলবে। বৃষ্টিতে ভিজে যাবেন। তাই এই সময় সঙ্গী হবে ছাতা। সব সময় ব্যাগে বা হাতে ছাতা নিয়েই ঘর থেকে বের হোন। রেইনকোর্টও রাখতে পারেন সঙ্গে। সঙ্গে রাখুন মোবাইল ফোন বা টাকা রাখার জন্য় ছোট প্লাস্টিকের প্যাকেট।
পোশাকেও রাখতে হবে বাড়তি সতর্কতা। এমন পোশাক পরুন, যা বৃষ্টিতেও স্বাচ্ছন্দ্য দেবে। কাদায় লেপ্টে থাকা মাটির গন্ধে মনেও চাঞ্চল্য থাকবে। তাই এই সময় যেকোনো রংই পরতে পারেন। কিন্তু উজ্জ্বল রঙের পোশাকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন।
কৃত্রিম তন্তুর তৈরি পোশাক পরতে পারেন এই ঘোর বর্ষায়। বৃষ্টিতে শীতল আবহাওয়া থাকে তাই এই ধরনের পোশাকে আরাম পাবেন। কারণ, এ ধরনের পোশাক বৃষ্টিতেও দ্রুত শুকিয়ে যাবে। জর্জেট, সিল্কের কামিজ, শাড়ি পরতে পারেন। তরুণরা টপ আর জিনসেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। তবে সালোয়ার বা প্যান্ট পরলে তা গোড়ালির ওপরেই রাখুন। তা ছাড়া ফ্যাশনে লং ড্রেসও বেশ মানাবে।
এই মৌসুমে আবহাওয়া থাকবে ঠান্ডা। তাপমাত্রাও কমে আসবে। তাই ক্রেপ, জ্যাকার্ড, সুইস জর্জেটের পোশাকও বেশ মানাবে। সিল্কের ওপর ছাপা নকশার চাহিদাও বাড়ে এই সময়।
বৃষ্টির সঙ্গে নীলের এই অদ্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। মানে নীল রঙের পোশাককেই বৃষ্টিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফ্যাশন হাউজগুলোও নীল রংকে মাথায় রেখেই তৈরি করে পোশাক। নীলের মধ্যে গাঢ় নীল, আবার গাঢ় নীলের মধ্যে হালকা নীলের কম্বিনেশন থাকে পোশাকে। বৃষ্টির পানি বা কাদা লেগে পোশাক নষ্ট হতে পারে। তাই সাদা রংকে এড়িয়ে চলাই উত্তম।
পায়ে রাখুন পানিনিরোধক স্যান্ডেল বা জুতা। বর্ষার জুতাগুলো আলাদাই রাখুন। অ্যান্টিস্লিপ জুতা বেছে নিতে পারেন। বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় কাদা থাকবে। রাস্তাও পিছলে থাকবে। কাদা এড়াতে উঁচু জুতা পরুন।
প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন। ওয়াটারপ্রুফ প্রসাধনী ব্যবহার করুন। ক্রিমভিত্তিক বা লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। কাজল, আইলাইনার, মাসকারা, লিপস্টিক প্রতিদিনই ব্যবহার হয়। তাই এগুলো ওয়াটারপ্রুফ হওয়া আবশ্যক। হালকা মেকআপ করবেন এবং হালকা রঙের ম্যাট লিপস্টিক লাগিয় নেবেন।
যে ব্যাগটি বহন করছেন, তা-ও যেন ওয়াটারপ্রুফ হয়। এই সময় ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ না হলে বিপদেই পড়ে যাবেন। ভেতরের প্রয়োজনীয় সব জিনিসই পানিতে নষ্ট হতে পারে।