জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি হচ্ছে টিকটক। কম সময়েই বিশ্বজুড়ে এই মাধ্যমটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ছোট-বড় সব বয়সীদেরই উপস্থিতি দেখা যায় এই মাধ্যমে। দ্রুত ভাইরাল হওয়ার সহজ মাধ্যম হচ্ছে টিকটক। যার জনপ্রিয়তার ছাপ পৌঁছে গেছে বিশ্বের বাইরে মহাকাশেও।
মহাকাশ থেকে টিকটক ভিডিও প্রকাশ করে এই অ্যাপটির জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিয়েছেন ইতালির প্রথম নারী নভোচারী সামান্থা ক্রিস্তোফোরেত্তি। তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে টিকটক ভিডিও বানিয়েছেন। এর আগে কোনও মহাকাশচারী তা করেননি।
বিবিসি জানায়, ২০১৪ সালে প্রথম মহাকাশ ভ্রমণ করেন সামান্থা। আইএসএসে একজন নারী হিসেবে টানা ১৯৯ দিন কাটিয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয়বারের মতো মহাকাশ ভ্রমণে যান সামান্থা। আর এই ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখতে তিনি টিকটকে জন্য ভিডিও বানিয়েছেন। সেই ভিডিও প্রকাশও করেছেন নিজের প্রোফাইলে। যা দর্শক হয়েছেন বিশ্বের কোটি মানুষ। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ১৭ কোটি বারেরও বেশি।
মুহূর্তেই নভোচারী সামান্থার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। মহাকাশ থেকে নভোচারীর টিকটক ভিডিও দেখে কৌতুহলীদের চোখ আটকে যায়। প্রশংসাও কুড়িয়েছেন অনেক। মুহূর্তেই টিকটক তারকা খ্যাতি পেয়ে যান এই নভোচারী।
টিকটকে প্রকাশ পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি দ্য হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সির লেখক ডগলাস অ্যাডামসকে স্মরণ করেছেন সামান্থা। মহাকাশে ওজনহীন অবস্থায় একটি ভেজা তোয়ালে কেমন আচরণ করে তা ভিডিওতে তুলে ধরেছেন।
শুধু তাই নয়, পৃথিবী থেকে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পর তা আইএসএসে স্থাপন করা পর্যন্ত বিস্তারিত দৃশ্য ধারণ করেও প্রকাশ করেছেন টিকটকে। যা ভিজিটর ছিল ১২ লাখেরও বেশি।
টিকটকের মাধ্যমে বিশ্ববাসী বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি নিজের দায়িত্বও পালন করেছেন সামান্থা। মহাকাশ স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করেছেন। চালিয়ে গেছেন গবেষণার কাজও।
মহাকাশযানে খুবই কম মহাকর্ষ বলের মধ্যে কীভাবে ডিম্বাশয়ের কোষগুলো কাজ করে, তা খতিয়ে দেখার গবেষণাটি নিয়েও ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন এই নভোচারী।
নিজের টিকটক প্রোফাইলে মহাকাশে দীর্ঘ সময় অবস্থানে শারীরিক প্রভাব কেমন হয় তা নিয়েও ভিডিও শেয়ার করেছেন। বলা যায়, নিজের মহাকাশ অভিজ্ঞতাকে টিকটকের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টাই করেছেন সামান্থা।