বাঙালি নাশতায় চিড়া খেতে পছন্দ করে। দই-চিড়ার সঙ্গে কলা বাঙালির প্রিয় নাশতা। বিশেষ করে গরমের মৌসুমে এই খাবারের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। শরীর ঠান্ডা রাখতে এই খাবারের জুড়ি নেই। শুধু দুধ-চিনির সঙ্গে চিড়া ভিজিয়েও খাওয়া যায়, যা খেলে অল্পতেই পেট ভরে উঠবে। স্বাদেও দারুণ এটি। তবে শুধু স্বাদে নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও চিড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।
ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয় চিড়া। বহুল প্রচলিত খাবার পেট ঠাণ্ডা রাখে, পানির অভাব পূরণ করে এবং ক্ষুধা মেটায়। স্বাস্থ্য সুরক্ষার চিড়ার যত গুণ এবং কেন চিড়া খাবেন, তা জানব এই আয়োজনে।
চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে। ফলে এটি ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধ করে। তাছাড়া পেট ভরা রাখতে এবং ক্ষুদা মেটাতে চিড়া খাওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়। কারণ এটি সহজপাচ্য।
চিড়ায় পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে, যা কিডনির জন্য ভালো। কিডনি জটিলতায় ভুগছেন এমন রোগীরা খাদ্যতালিকায় নিয়মিত চিড়া রাখতে পারেন।
চিড়া শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না। তাই যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তারা নিয়মিত চিড়া খেতে পারেন। চিড়ায় সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি শরীরকে ফিট রাখে।
চিড়া রোগবালাই থেকে মুক্ত রাখতে সহায়ক। চিড়াতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় এটি শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
চিড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চিড়া দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে। দাঁতকে মজবুত রাখে।
ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্যতালিকায় নিয়মিত চিড়া রাখতে পারেন। ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে এটি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
চিড়া খাওয়ার আগে ভালোভাবে ভিজিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সাধারণ পানিতে চিড়া ধুয়ে নিন। অন্ততপক্ষে তিনবার ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে তরল দুধে চিড়া ভিজিয়ে রাখুন। অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। চিড়া নরম হয়ে যাবে। এই পর্যায়ে কলা, দই, চিনি ও সামান্য লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন চিড়া। যারা ওজন কমাতে চিড়া খাবেন, তারা চিনি ছাড়াই খাবেন। স্বাদে ভিন্নতা আনতে সামান্য মধু দিয়ে নিতে পারেন।