আচার খেতে সবাই পছন্দ করেন। ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে আচার মাখিয়ে খেতে বেশ সুস্বাদু। মুখে রুচি নেই, এক চামচ আচার দিয়েই পেটপুড়ে খাওয়া যাবে। আচার মূলত দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করে রাখার প্রক্রিয়া। আম, কুল, সবজির আচার বানানো হয়। এবার প্রিয় মাছ চিংড়ির আচার বানিয়ে রেখে দিতে পারেন। সুস্বাদু এই আচার খাবারের স্বাদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিবে। চিংড়ি আচার মাখিয়ে এক প্লেট পোলাও বা ভাত খেয়ে নেওয়া যাবে সহজেই।
অবাক হচ্ছেন, হ্যাঁ চিংড়ি মাছের ভুনা, মালাইকারির মতো আচারও সুস্বাদু হয়। এমনকি চিংড়ি প্রিয় মানুষের জন্য এটি হবে লোভনীয় পদ। দেরি না করে, আপনিও চিংড়ির আচার বানিয়ে রাখতে পারেন। আর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে অতিথিদের চমকে দিন। চিংড়ি মাছের আচার বানানো সহজ রেসিপিটি জেনে নিন এই আয়োজনে।
প্রথমে ছোট চিংড়ি মাছ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ২ চা-চামচ মরিচগুঁড়ো, আধা চা-চামচ হলুদগুঁড়ো ও লবণ দিয়ে চিংড়ি ম্যারিনেট করে রাখুন। অন্তত ১৫ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখতে হবে।
এদিকে একটি পাত্রে হলুদ, মরিচ এবং মেথিগুঁড়ো একসঙ্গে সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন। পেস্ট বানিয়ে রাখুন। চুলায় কড়াইয়ে তেল গরম করতে হবে। এবার এতে ম্যারিনেট করা চিংড়ি মাছ দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ভাজুন। সোনালি রং হলে চিংড়ি তুলে নিন।
এবার সেই তেলে শর্ষে দানার ফোড়ন দিন। কিছুক্ষণ নেড়ে কারিপাতা, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাজুন। কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার এতে পানি দিয়ে পেস্ট করা মসলাগর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। মসলা থেকে তেল আলাদা হাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে। এবার ভাজা চিংড়িগুলো দিয়ে দিন। সব উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়ে ভিনিগার দিন। স্বাদমতো লবণ দিতে হবে। মাখা মাখা হলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিন। তৈরি হয়ে গেল চিংড়ির আচার।
ঠান্ডা হলে কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। ফ্রিজে রেখে বেশ কিছুদিন ধরে খাওয়া যাবে এই আচার।