যত দিন যাচ্ছে হু হু করে বাড়ছে সবকিছুর দাম। জীবনযাত্রার খরচ সামলে নিতেই এখন বেহাল অবস্থা। সবকিছুর মধ্যে অর্থ সঞ্চয় করা রীতিমতো দুসাধ্য কাজ। এদিকে তেলের দাম, গ্যাসের দামও বেড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সদাই কিনতে এখন আয়ের বড় অংশই চলে যায়। তবুও ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য় অর্থ সঞ্চয় তো করতেই হয়। অতিরিক্ত খরচের লাগাম টেনে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখেই অর্থ সঞ্চয় করা সম্ভব।
জীবনযাত্রায় অর্থ জমানোর এই সামঞ্জস্যতা কীভাবে করা যাবে তা নিয়ে পরামর্শ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ৭ উপায়ে আয়-ব্যয়ের এই সামঞ্জস্যতা সম্ভব।
মাসের শুরুতেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা করুন। কোনটি কিনতে হবে তা লিখে নিন। সঙ্গে খরচের হিসেবটাও করুন। এতে এক মাসের বাজেট করতে সুবিধে হবে। সেই অনুযায়ী কেনাকাটা করুন। অতিরিক্ত খরচ হবে না। বরং আয়ের বাড়তি টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন।
দামি জিনিসপত্র না কিনে মানসম্মত জিনিস বাজেটের মধ্যে কেনার চেষ্টা করুন। গুণ ও মানের দিক থেকে কম্প্রোমাইজ করবেন না। তবে কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে সেরা অফারে প্রয়োজনীয় দ্রব্যটি দিচ্ছে তা দেখে কিনতে পারেন।
বাড়ির খাবারে অভ্যস্ত হোন। যারা প্রায়ই রেস্তোরায় খেতে যান তাদের খরচও বেশি হয়। আবার এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য়ও ক্ষতিকর। অসুস্থ হলে অতিরিক্ত ব্যয়ও বাড়বে। তাই বাড়ির খাবারের অভ্যাস করুন।
পোশাক বা অন্য সদাই কিনতে সাশ্রয়ী হতে হবে। যেখান থেকে কেনাকাটা করছেন তা কতটা সাশ্রয়ী দেখে নিন। দাম বেশি হলে অন্য স্থানের খোঁজ করুন। যেখান থেকে একই জিনিস কম দামে কিনতে পারবেন।
যেকোনও জিনিস কেনার আগে অবশ্যই দরদাম করুন। সঠিক দ্রব্যের সঠিক মূল্য দিন। অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগে বেশি দাম হাঁকানোর চেষ্টা করবে। সতর্ক থাকবেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে বিল পেমেন্টে অনেক অফার থাকে। তাই অনলাইনেই বিল দিন। ব্যাংকে নগদে পেমেন্ট করতে গেলে গাড়ি ভাড়াও অতিরিক্ত খরচ হবে এবং সময় নষ্ট হবে।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা, অহেতুক ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। অনেক অর্থ সঞ্চয় হবে।