ঈদ মানেই নতুন জামাকাপড়, পোলাও, কোর্মা, জর্দা আর ঝাল ঝাল সব খাবার। ঈদের দিনে ভালো খাবার হবে না, এমনটা ভাবা যায় না। ছোট–বড় সবারই ভীষণ পছন্দের ঈদে রান্নার সব আয়োজন।
রাত পোহালেই আসছে ঈদের দিন। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর আগামীকাল মুসলমান ধর্মের উৎসবের দিন, ঈদুল ফিতর। ঘরে ঘরে রান্না হবে মুখরোচক নানান খাবার। ঈদের দিন দাওয়াতের যেন কমতি থাকে না। কোনটা রেখে কোন দাওয়াতে যাবেন, তা নিয়েই যত ভাবনা। সকালের মিষ্টি খাবারের পর দুপুর থেকে শুরু হবে ঝাল ঝাল গুরুভোজ। ঈদে খাওয়ার টেবিলে থাকবে সব নানান পদ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ঈদে রান্নার নানান পদ সম্পর্কে
প্রথমে মাংস ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজবাটা, পেঁপেবাটা, লবণ, তেল, জিরাবাটা, আদা ও রসুনবাটাসহ বাকি সব মসলা দিয়ে খুব ভালো করে মাখাতে হবে। মসলাগুলো দিয়ে মাখিয়ে ২-৩ ঘণ্টা মেরিনেট করে রেখে দিন।
এবার মেরিনেট করা মাংসগুলো শিকে গেঁথে নিন। এরপর এটা কয়লার আগুনে ঝলসিয়ে নিয়ে চারপাশ পোড়া পোড়া করে নামিয়ে নিন। নান, পোলাও, গরম ভাত, লাচ্ছা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
প্রথমে মোরগ চামড়া ছাড়িয়ে গলার হাড় বাদ দিয়ে চার টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ১ টেবিল চামচ পোস্তদানা বাটা, আদাবাটা, রসুনবাটা, চিনি, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়া, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া, টমেটো সস, লবণ, আলুবোখারা, টক দই দিয়ে মাখিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট রাখতে হবে। জাফরান কেওড়া ও ২ টেবিল চামচ দুধ দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। ঘি-তেল একসঙ্গে চুলায় দিয়ে পেস্তাবাদাম, কিশমিশ অল্প ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলে গরম মসলা ও তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে মাখানো মাংস দিয়ে কষাতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে মাংসের টুকরা তুলে রাখতে হবে। ওই হাঁড়িতে ৭ কাপ পানি, লবণ দিয়ে চুলায় দিতে হবে। ফুটে উঠলে চাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। চালের পানি কমে এলে দুধের সঙ্গে আধা টেবিল চামচ পোস্তদানা গুলিয়ে দিতে হবে। কিছুটা মাওয়া গুঁড়া দিয়ে ২০ মিনিট অল্প জ্বালে রাখতে হবে।
মালাইয়ের সঙ্গে পেস্তাবাদাম বাটা মিলিয়ে অর্ধেকটা রান্না মাংসের সঙ্গে মিলিয়ে কিছুটা বেরেস্তা দিয়ে মিলিয়ে রাখতে হবে। পোলাওয়ের পানি শুকিয়ে এলে কিছুটা পোলাও উঠিয়ে মোরগের মাংস সাজিয়ে কিছু বেরেস্তা, কাঁচা মরিচ, মাওয়া গুঁড়া দিয়ে বাকি পোলাও দিয়ে ভেজানো জাফরান দিয়ে বাকি মালাই দিয়ে বেরেস্তা, পেস্তাবাদাম কুচি ছিটিয়ে ২৫ মিনিট দমে রাখতে হবে।
মাংস টুকরা করে ধুয়ে সব বাটা মসলা, দই, লবণ, গরম মসলা, তেজপাতা, আলুবোখারা দিয়ে মাখিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। হাঁড়িতে তেল বা ঘি গরম করে পেঁয়াজ ঘিয়ে রং করে ভেজে মসলা মাখানো মাংস দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস তেলের ওপর এলে গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল শুকিয়ে এলে দুধের সঙ্গে বাদাম বাটা গুলিয়ে দিতে হবে। জর্দার রং কেওড়ার সঙ্গে গুলিয়ে দিতে হবে। চিনি, কাঁচামরিচ, তেঁতুলের মাড় দিতে হবে। মাংস তেলের ওপর এলে পেঁয়াজ বেরেস্তা, গরম মসলার গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে মাংসে দিতে হবে। শাহি রেজালা পোলাও, পরোটা ও লুচির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
প্রথমে মাংস টুকরা করে ধুয়ে সব বাটা মসলা, গুঁড়া মসলা, টকদই ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর তেল গরম করে মেথি ফোড়ন দিয়ে তেল ছেঁকে নিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে কষাতে হবে।
মাংস কয়েকবার কষিয়ে পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে মাংস ভাজা ভাজা হলে কাঁচা মরিচ, চিনি, আচার দিয়ে মাংস ভুনা ভুনা করে নামাতে হবে। ফুটে উঠলে আচ কমিয়ে দমে রাখুন। তৈরি খাসির আচারি মাংস।
প্রথমে দুই কাপ পানির সঙ্গে সব মসলা মিশিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে খুব ভালোভাবে মিলিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে বোরহানি পরিবেশন করা যায়।