ঈদে ফাঁকা রাস্তা, সাবধানে চলুন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২, ২০২২, ১০:৪৬ এএম

ঈদ আমেজ শুরু হয়েছে চারপাশে। রমজানের শেষ দিনের আগেই প্রিয়জনের কাছে ফিরেছেন সবাই। নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে গেছেন অনেকে। রাজধানীর বাইরে এখন জমজমাট অবস্থা। কিন্তু ফাঁকা হয়ে গেছে পুরো রাজধানী। কর্মব্যস্ততাও থেমে গেছে। ভিড় কিছুটা দেখা যায় মার্কেটের এলাকাগুলোতে। সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। এর বাইরে পুরো ঢাকা এখন নীরবতায় আচ্ছন্ন। 

ফাঁকা রাস্তা। কর্মমুখী মানুষের ব্যস্ততা কম। কিন্তু ঈদের উৎসব আর ঘোরাঘুরি তো হবেই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, স্বজনদের বাসায় ঘুরে বেড়ানো সবই হবে। আবার ফাঁকা রাস্তায় রিকশা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাও উপভোগ করবেন অনেকে। 

সন্ধ্যা বেলা থেকে জমে উঠবে খাবারের দোকানগুলো। বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে খাওয়ার ধুম পড়বে ঈদের দিন থেকেই। এই আমেজ দুই থেকে তিনদিন তো থাকবেই। রাজধানীর বাইরেও থাকবে একই চিত্র। যার যার জায়গাতেই সবাই ঘুরে বেড়াবেন।

আপনিও কি ঈদের ছুটিতে বাইরে ঘুরতে যাচ্ছেন। তবে ঈদের ফাঁকা রাস্তায় কিছু সতর্কতা মেনে চলুন। কারণ, ঈদ আনন্দে একদিকে যখন সবাই মেতে উঠবে। অন্যদিকে অশুভ কিছু লোক সুযোগের অপেক্ষায় থাকবে। তাই এই সময়টাতে ছিনতাইসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন। আগেই সতর্ক হোন। ঈদ ঘোরাফেরায় স্বস্তি পাবেন।

  • ঈদের ফাঁকা রাস্তায় একা না চলাই ভালো। একসঙ্গে অনেকে মিলে বের হোন। ঈদের আগের দিন রাতের কেনাকাটা থাকলে তা দ্রুত সেরে নিন। বেশি রাত করবেন না।
  • রিকশায় চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন। এই সময় মোটরসাইকেল বা গাড়ি করে ছিনাতাইকারীরা ফাঁকা রাস্তা চষে বেড়ায়। সুযোগ পেলেই কারও ব্যাগে টেনে চলে যায়। এতে আপনার জানেরও ঝুঁকি থাকে। আচমকা ব্যাগ টানলে আপনি পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। 
  • চেষ্টা করবেন নির্জন বা থমথমে রাস্তাগুলোতে না যাওয়ার। যেখানে লোক সমাগম থাকবে সেখানেই ঘুরতে যান।
  • গাড়িতে কেউ লিফট চাইলে থামানোর আগে সতর্ক হোন। লোকটির কোনো অসৎ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে সন্দেহ হলে গাড়ি থামাবেন না।
  • ঈদের ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অনেক মোটরসাইকেল আরোহী সর্বোচ্চ গতিতে চলাচল করে। এটা মোটেও উচিত নয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 
  • ঈদের সময় রাতের দাওয়াত শেষে বাড়ি ফিরতে বেশি দেরি করবেন না। এই সময় অনেক তাড়াতাড়ি রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে।
  • কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি সেবায় যোগাযোগ করুন। ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা চাইতে পারেন।