গরমে হাঁসফাঁস লাগছে? যেভাবে আরাম মিলবে

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২২, ১১:২২ এএম

মাত্র বৈশাখ মাসের শুরু। এরপর জৈষ্ঠের আগমনবার্তা। আবহাওয়ায় উষ্ণতা বাড়ছেই। স্বাভাবিকভাবেই এই উষ্ণতার তীব্রতা আরও বাড়বে। ঘেমে শরীরের অবস্থাও নাজেহাল। নিশ্বাসেও এখন হাঁসফাঁস অবস্থা। আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়েই সাজাতে হবে জীবনযাত্রা। কী করলে গরমের উষ্ণতা থেকে শরীরকে আরাম দেওয়া যাবে, সেই পন্থাও নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে। শরীরকে আরাম দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই তো জীবনযাত্রার চলমান গতি ঠিক থাকবে। 

প্রচণ্ড গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে নিন আজকের এই আয়োজনে_

শরীরকে আর্দ্র রাখুন

গরমে সুস্থ থাকতে প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এই সময় শরীরের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে হয়। শরীর যেন কোনোভাবেই পানিশূন্য না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে আপনার কর্মশক্তি কমে আসবে। শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। বাইরে বের হলে পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। কোল্ডড্রিঙ্কস না খেয়ে ফলের জুস খেতে পারেন। এটি শরীরের জন্য উপকার দিবে। এছাড়াও ডাবের জল, আখের রস, দই, লেবুর শরবত খেতে পারেন।

নিয়মিত গোসল

গরমের সময় প্রচণ্ড ঘাম হয়। ঘাম হলে শরীরে আঠালো ভাব হয়ে যায়। এতে শরীরে ময়লাও জমতে পারে। অস্বস্তিবোধ হয়। তাই কোনোভাবেই গোসল না করে থাকা যাবে না। সম্ভব হলে সকাল ও রাতে দুইবার গোসল দিন। শরীরে আরাম পাবেন। ঘুমও ভালো হবে।

আরামদায়ক পোশাক

গরমে আরাম পেতে পোশাকেও নজর রাখুন। আরামদায়ক পোশাকেই স্বস্তিতে চলতে পারবেন। যতটা সম্ভব পাতলা ও হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতি কাপড় বেছে নিন। ভারি জামাকাপড় পরবেন না। পোশাকের ডিজাইনেও হালকা কাজ বেছে নিন। 

ছাতা নিতে ভুলবেন না

বাইরে বের হলে প্রয়োজনীয় যেসব জিনিস ব্যাগে নিয়ে নিবেন এর মধ্যে ছাতা অন্যতম একটি। পানির বোতলের সঙ্গে ব্যাগে একটি ছাতাও ভরে নিন। এটি প্রচণ্ড রোদ বা বৃষ্টি থেকে রেহাই দিবে। ছাতা সরাসরি রোদের দাপট আপনার ওপর পড়তে দেবে না। আপনার মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাবও পড়বে না। শরীরে ঘামও কম হবে। তাই অবশ্যই সহজে বহনযোগ্য একটি ছাতা সঙ্গে রাখুন।

ঘুম

গরম কিংবা শীত যেকোনো সময়ই সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু গরমে অস্বস্তিবোধ হওয়ার কারণে ঘুম কমে যায়। কিন্তু ঘুমকে ঠিক রাখতেই হবে। ঘরের তাপমাত্রাকে ব্যালেন্স করুন। পর্যাপ্ত বাতাস ঢুকবে এমনভাবে ফার্নিচার সরিয়ে নিন। এতে ঘুম ভালো হবে। অন্তত টানা ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন প্রতিদিন।

চোখের খেয়াল রাখুন

গরমে প্রচণ্ড রোদে চোখের খেয়াল রাখবে সানগ্লাস। বাইরে বের হলে সানগ্লাস পরে নিন। চোখের কাজল বা মেকআপের দিকেও খেয়াল রাখুন। চোখে অতিরিক্ত মেকআপ বা লেন্স ব্যবহার না করাই ভালো। বিশের করে দিনের আলোতে। রোদের অতিবেগুনি রশ্মি  বিরোধী লেন্স পাওয়া যায়। সেগুলো পরতে পারেন। তবে অবশ্যই ভালো মানেরটা কিনবেন। এছাড়াও গরমে জ্বালাভাবে বা অস্বস্তি কমাতে চোখে কিছুক্ষণ পর পর পানির ঝাপটা দিন। আরাম পাবেন।

ত্বকের বিশেষ যত্ন

গরমে ত্বকের যত্নে অবহেলা করলে চলবে না। বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। রোদের তীব্রতা থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। ত্বক নিয়মিত পরিস্কার করুন। ঘরে তৈরি ক্লিনজার এবং টোনার ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া গরমের নানা ফল দিয়েও মাস্ক বা ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকের যত্ন করতে পারেন।

খাওয়ায় অবহেলা নয়

গরমে পানি যেমন সুরক্ষা দিবে, তেমনই স্বাস্থ্যকর খাবারে পাবেন স্বস্তি। সহজে হজমযোগ্য খাবার খান এই সময়। এমন খাবার তালিকায় রাখুন যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে। মশলাজাতীয় খাবার, জাঙ্ক ফুড না খাওয়াই ভালো। ঘরের খাবার খাবেন। বাইরের খাবার যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। ফল ও সবজি বেশি করে খাবেন। শরীর সুস্থ থাকবে।