আসন্ন ঈদের আগাম আনন্দ এখন চারপাশজুড়ে। চলছে ধুম কেনাকাটা। রাজধানীর সব মার্কেট জুড়েই এখন ভিড়। মহামারির প্রকোপও কম। তাই দুই বছর পর এবারের ঈদের আনন্দ ফিরে এসেছে। সবার জন্যই পোশাক কেনা চাই। নিজের ঈদ পোশাক তো বটেই, উপহারের পোশাক কিনতেও এবার মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন সবাই।
গরম মৌসুমে ঈদ। কেনাকাটায় তাই আরামদায়ক পোশাকই প্রাধান্য পাচ্ছে। ছোট কিংবা বয়স্করা আরামদায়ক পোশাক তো কিনছেন। সেই সঙ্গে তরুণ-তরুণীরাও এবার আরামদায়ক পোশাকেই ঝুঁকেছেন। ভারি কাজ করা পার্টি ড্রেসও কেনা হচ্ছে। তবে এর সংখ্যাও বেশ কম। মার্কেট ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন, ক্রেতাদের পছন্দ এবার আরামদায়ক কাপড়েই।
রমজানের শেষ সময়ে এখনও কেনাকাটা চলছে। কিন্তু অনেকেরই গরমে ঈদ উদযাপনে আরামদায়ক পোশাকটি বেছে নিতে পারছেন না। ঈদ পোশাক কেনাকাটায় এবার যে বিষয়গুলো নজরে রাখবেন তা নিয়ে কিছু টিপস থাকছে এই আয়োজনে_
গরমে আরাম পেতে তৈরি পোশাকটির কাপড়ের দিকে আগে খেয়াল করুন। সুতির কাপড়ের তৈরি পোশাক সবচেয়ে আরামদায়ক। গরমে ঈদের সারাদিন ঘোরাফেরায় মোটেও অস্বস্তি লাগবে না।
তাঁত ও খাদি কাপড়ের পোশাকও কিনতে পারেন। এটিও আরামদায়ক। লিনেন, ধুপিয়ান, ভয়েল, মসলিন, চিকেন ও তাতের কাপড়ও গরমে আরাম দিবে। গর্জিয়াস কিছু চাইলে কৃত্রিম মসলিন বা পাতলা চোষা কাতানের পোশাক পরতে পারেন।
গরমে হালকা রঙের পোশাক আরামদায়ক হবে। পোশাকের রং বাছাই করার আগে তাই খেয়াল রাখুন। হালকা গোলাপি, আকাশি, হালকা হলুদ, ধূসর, হালকা বেগুনি, হালকা নীল, বাদামি রং বেছে নিতে পারেন। এগুলো আরামদায়ক। চোখেও প্রশান্তি পাবেন। বিশেষ করে ঈদের দিনের সময়টাতে খুব বেশি উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের পোশাক না পরাই ভালো। রাতে দাওয়াতে গাঢ় পরতে পারেন। তবে জমকালো না হলেই আরাম পাবেন।
ফিটিংস পোশাক না পরলেই আরাম পাবেন। পোশাকে ঢিলেঢালা ভাব থাকলে আরাম মিলবে। স্বস্তি পাবেন। গলা বন্ধ পোশাক পরবেন না। হাতের ডিজাইনেও ভ্যারিয়েশন এসেছে। যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা ছোট হাতার ডিজাইন রাখার চেষ্টা করবেন।