মেকআপ শুরু আগে বেইসটা ভালো হতে হয়। তবেই তো মেকআপ পারফেক্ট হবে। মেকআপ বেইস লাগানোর প্রধান উপকরণ থাকে ফাউন্ডেশন আর ফেইস পাউডার। এখন সাজে আরও একটি প্রসাধনী যুক্ত হয়েছে। তা হচ্ছে কনসিলার।
কনসিলার ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগকে ঢেকে দেয়, চোখের নিচে কালো দাগকে ঢেকে রাখে। এ ছাড়া মেকআপ পারফেক্ট করতে কনসিলার ত্বকের টোনকে সামঞ্জস্য করে। কিন্তু কনসিলার ব্যবহার করতে হয় জায়গা বুঝে। পারফেক্ট মেকআপের জন্য কনসিলার ব্যবহারের কিছু টিপস জেনে রাখা জরুরি, যা পারফেক্ট মেকআপ টোনের সুন্দর সমন্বয় করবে।
বেইজ মেকআপে কনসিলার সহজেই ফিক্স করতে কিছু টিপস জানুন এই আয়োজনে।
সবুজ, হলুদ, কমলা বিভিন্ন রঙের কনসিলার এখন বাজারে রয়েছে। স্কিনটোন বুঝে কালার কারেক্টর অ্যাপ্লাই করুন। মনে রাখবেন, ব্রণ বা ব্রণের দাগ, স্কিন ব্লেমিশ ঢেকে দিতে সবুজ রঙের কালারের কারেক্টর ব্যবহার করতে হবে। চোখের নিচের কালো দাগ বা ত্বকের কালো কালো ছোপ আছে দূর করতে কমলা রঙের কালারের কারেক্টর ভালো। আর চোখ নিচে ফোলাভাব থাকলে হলুদ রঙের কনসিলার ব্যবহারে পারফেক্ট লুক পাবেন।
ত্বকের ধরনের সঙ্গে ফাউন্ডেশনের শেড মিলছে না? ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সামান্য কনসিলার মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ফাউন্ডেশন একটু গাঢ় রঙের হলে এক শেইড লাইট কনসিলার এতে মিশিয়ে নেবেন। ফাউন্ডেশনের শেড ন্যাচারাল টোনের থেকে লাইট হলে একটু গাঢ় রঙের কনসিলার মিশিয়ে নিন। পারফেক্ট বেইজ মেকআপ পাবেন।
চোখের নিচে কনসিলার পারফেক্ট না হলে মেকআপই ভেস্তে যাবে। ট্রায়াঙ্গেল শেইপে কনসিলার চোখের নিচে লাগিয়ে নিন। ত্বকে ব্রাইট দেখাবে। চোখের নিচের ভোলাভাব ঢাকতে এটা দারুণ কাজ দেবে। কনসিলার লাগিয়ে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে মিশিয়ে নিন। পারফেক্ট লুক পাবেন।
লিপস্টিক লাগানোর সময় লাইন ঠিক থাকে না বা ছড়িয়ে পড়ে অনেক সময়। তাই লিপস্টিক লাগানোর পর কনসিলারের চিকন ব্রাশ দিয়ে লিপ লাইনিং করে নিন। লিপের পারফেক্ট শেপ ফুটে উঠবে। তবে এ ক্ষেত্রে স্কিনটোনের সঙ্গে ম্যাচিং কনসিলার ব্যবহার করবেন।
মেকআপে চোখের অংশটি একদম পারফেক্ট হতে হয়। বেইজ আই মেকআপ পেতে চোখের ওপরে কনসিলার লাগিয়ে নিন। এরপর গ্লিটারি বা শিমারি আইশ্যাডো লাগান। খুব সহজেই শ্যাডো চোখের পাতায় বসে যাবে। শ্যাডোর কালারও সুন্দর ফুটে উঠবে। আই মেকআপ বেশ গর্জিয়াস হবে।
ফেইস কনট্যুরিং করতে চাচ্ছেন? দুই ধরনের কনসিলার ব্যবহার করুন। ডার্ক ও লাইট দুই শেডে ফেইস কনট্যুরিং হয়ে যাবে। লাইট শেডের কনসিলার মুখের হাইলাইটিং পয়েন্টে এবং ডার্ক শেডের কনসিলার মুখের চিনে, গালের দুই দিকে ও কপালের দুই পাশে লাগিয়ে নিন। মুখের শেইপ শার্প দেখাবে। নোজ কনট্যুরিংও করা যাবে খুব সহজেই।