সুপেয় পানীয়ের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছ কফি। উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তদের পছন্দের পানীয় এটি। প্রতিদিন বা প্রতিবেলায় এক কাপ কফি না হলে চলেই না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিংবা কাজের ব্যস্ততায় কফির কাপে চুমুক দেওয়ায় মিলে প্রশান্তি।
কফি পানে স্বাস্থ্য উপকারও রয়েছে। নিয়মিত কফি পানে ফ্যাট বার্ন হয়। শুধু তাই নয় টাইপ ২ ডায়াবিটিস, অ্যালজাইমারের মতো রোগের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয় কফি। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্য়ান্টস রয়েছে। যা শরীরের পাশাপাশি ত্বকেরও যত্ন নেয়। কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন ত্বকের নীচে রক্তনালীগুলি সরিয়ে এবং সার্বিক রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে সেলুলাইট হ্রাস করতে সহায়তা করে।
ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। সুপেয় এই পানীয়টি ত্বকের গ্ল্যামার ধরে রাখতে বিশেষ কাজ করে। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেয় ত্বকের উজ্জ্বলতাও। বাজারের কেমিক্যালযুক্ত মাস্ক বা ফেসিয়াল প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে কফি দিয়েই করুন ত্বকের যত্ন। হ্যাঁ, কফি দিয়েই বানানো যাবে ফেসওয়াশ। যা দিয়ে নিয়মিত ত্বক পরিস্কার রাখুন। ত্বকে বাড়বে কোমলীয়তা।
ঘরোয়া পদ্ধততে কফির ফেসওয়াশ যেভাবে বানানো যাবে তা জানাব আজকের এই আয়োজনে_
অল্প উপকরণেই বানানো যাবে কফির ফেসওয়াশ। এসব উপকরণ পাওয়া যাবে হাতের নাগালেই। কফি, গোলাপ জল, গ্লিসারিন, অ্যালোভেরা জেল, ভিটামিন ই ওয়েল (যা ই-ক্যাপসুল থেকেও পাওয়া যাবে)।
কফির ফেসওয়াশ বানানোর পদ্ধতিও বেশ সহজ। একটি পাত্রে পানি নিন। এতে কফি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। কফির পানি ঘন হয়ে এলে একটি বাটিতে নামিয়ে রাখুন। এবার এটি ঠাণ্ডা হতে দিন।
এবার ঠাণ্ডা হওয়া কফির পানিতে দেড় চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চামচ গ্লিসারিন, সামান্য গোলাপ জল এবং সামান্য পরিমাণে ভিটামিন ই ওয়েল মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মেশাতে হবে। যেন সব উপকরণ একসঙ্গে মিশে যায়। মেশানো হলে মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখুন। সপ্তাহখানেক এটি ব্যবহার করা যাবে।
মুখ হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর কফির ফেসওয়াশ পরিমাণমতো হাতে নিয়ে পুরো মুখে মাখিয়ে নিন। ত্বকে দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন। প্রতিদিন দুইবার এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। কিছুদিনের মধ্যেই চকচকে করবে ত্বক। দূর হবে কালো দাগ, উজ্জ্বল বাড়বে।