সপ্তাহ পেরুলেই পবিত্র রমজান মাসের শুরু। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা পুরো রমজান মাসে সিয়াম সাধন করবেন, রোজা রাখবেন এবং যাকাত আদায় করবেন। রজমানে রোজা শেষে ইফতার করবেন। সব কিছুর জন্যই প্রস্তুতি থাকে আগেই। বিশেষ করে ইফতার আয়োজনের কেনাকাটা রমজান মাস শুরুর আগেই করা হয়। কম-বেশি সবাই এখনই কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। বাজারের দামও এখন লাগাম ছাড়া। তাই রমজান মাসের প্রয়োজনীয় কী কী জিনিস লাগবে এবং কীভাবে কী কেনা যায় তার তালিকা করতে হবে আগেই। কিছু গুছিয়ে উঠতে পারছেন না? রমজানে কেনাকাটার একটা ধারণা নিন এই আয়োজন থেকে_
ইফতারের শুরুতেই খেজুর খাওয়া হয়। তাই খেজুর কিনে রাখুন আগেই। রোজায় খেজুরের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম চড়া থাকে। কিছুদিন পর আবার কিছুটা নাগালের মধ্যেও আসে। তাই চড়া দাম থাকলে অল্প পরিমাণে কিনে রাখুন। আর বাজেটে মধ্যে পেয়ে গেলে পুরো মাসের জন্য়ই কিনে রাখতে পারেন।
রোজায় ভাজাভুজি বেশি খাওয়া হয়। তাই তেলও বেশি লাগে। তেলের দাম চড়া। সরকার তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও দোকানে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে ন্যায্য মূল্যে তেল বিক্রি হয় সেখান থেকে কিনুন। তেল লিটার প্রতি দাম যাচাই করে কিনতে হবে। বাজেট থাকলে বেশি করে কিনতে পারেন।
বেসনে ভাজা খাবার খাবেন ইফতারে? বাজারের বেসন না কিনে আগেই ভাঙিয়ে নিতে পারেন। বুটের ডাল, মুসুরির ডাল এবং পোলাওয়ের চাল ভাঙালেই বেসন তৈরি হয়ে যাবে। এটি স্বাস্থ্যকর হবে।
প্রচণ্ড গরমে শরবত তো খাওয়াই হবে। চিনি কিনে রাখুন। সেই সঙ্গে রুহ-আফজা বা অন্য কোনো সুস্বাদু পানীয় কিনে রাখতে পারেন।
কাঁচা বাজার টাটকা করাই ভালো। তবে মাছ ও মুরগি কিনে ফ্রিজে তুলে রাখতে পারেন। এতে রোজায় ঝামেলা কম হবে।
রান্নার মশলাও আগে কিনে রাখুন। সাধারণত ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয় এই রমজানে। অথবা কোনো অতিথিও আসতে পারে। ইফতার ও সাহরির আয়োজনে নানা পদ রান্না হয়। মশলাও বেশি লাগে। তাই এসব মশলা আগেই কিনে রাখুন।
রমজান মাসের শেষেই ঈদ আনন্দ। রোজা রেখে ঈদের কেনাকাটা করা বেশ ঝামেলা হয়ে যায়। তাই ঈদে নিজেদের ও উপহারের কেনাকাটা আগেই সেরে নিন। রোজা রেখে শুধু সিয়াম সাধন করুন। প্রচণ্ড গরমে ঈদের কেনাকাটার ঝামেলা কমবে।