পাতা ঝরা শীতের শেষে গরম পড়তে শুরু করেছে। সূর্যের আলোর প্রখরতা এখন অনেক বেশি ত্বকে লাগছে। সূর্যের আলোর ইউভি রশ্মি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এখন থেকেই ত্বকের প্রতি যত্নশীল হতে হবে সবার আগে। এসময় স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি ত্বক ও চুলেরও সমান যত্ন নেওয়া জরুরি। কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন ও শরীরের প্রতি মেনোযোগই আমাদের শরীর ও ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। নইলে পানির অভাবে আপনার ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক দেখাবে। পর্যাপ্ত পানি শরীরের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে নরম এবং উজ্জ্বল। তাই ত্বকের যত্নে সঙ্গে রাখতে পারেন ফলের রসও। ফলের রস প্রাকৃতিকভাবে আপনার উজ্জ্বলতাকে ধরে রাখবে।
ব্যায়াম শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী। ওয়ার্ক আউট শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, ত্বকের কোষগুলোতে আরও পুষ্টি এবং অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার শরীরকে কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, আপনার ত্বককে মসৃণ এবং হাইড্রেটেড রাখে। তাই শরীরের সুরক্ষার প্রশ্নে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
মসৃণ ত্বক অর্জনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হল নিয়মিত এক্সফোলিয়েটিং করা। এক্সফোলিয়েটিং মূলত আপনার ত্বক থেকে মৃত চামড়া সরিয়ে দেয়। ত্বক মসৃণ ও নরম করতে তাই এক্সফোলিয়েটিং করা অতি জরুরি। একটি ভালো বডি স্ক্রাব আপনার ত্বককে মসৃণ এবং হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে। এক্সফোলিয়েটিং করার ফলে আপনার ত্বক আরও ভালোভাবে আর্দ্রতা শোষণ করতে পারবে। কাজেই ওয়ার্ক আউট করার পরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক্সফোলিয়েটিং ।
সকালে, ঘুমানোর আগে, গোসলের পরে বা এর মধ্যে যেকোনো সময় গোটা শরীরে ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ভালো ফলাফলের জন্য, গোসল করার পরে, আপনার ত্বককে আর্দ্রতা দিন। এটি আপনার লোশনকে আরও ভালো শোষণ করতে দেয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভাল ফলাফল দেয়।
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনে কয়েকবার গোসল শরীরকে আরাম দেয়। তবে প্রতিবার গোসলে সময় অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করবেন। কেননা গরম পানি আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ছিনিয়ে নেয়। যার ফলে ত্বক শুষ্ক, টানটান, চুলকানিযুক্ত হয়ে যায়। অন্যদিকে ঠাণ্ডা পানি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।