জীবনে অন্তত একটি শখ রাখুন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২১, ০৪:০৪ পিএম

শখের তোলা লাখ টাকা! এটি নিছকই কথার কথা নয়। শখ মানুষের মনের ক্ষুদা মেটায়, তেমনি এটি ব্যক্তি-মানসের পরিচায়কও বটে। কখনো কখনো শখ অর্থের যোগানও দেয়। তবে আমাদের দেশে শখের কাজগুলোকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় না। কারণ অধিকাংশ মানুষই শখকে একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয় মনে করে।

সমাজের দৃষ্টিকোণ যাই হোক না কেন, শখকে কখনও তুচ্ছ জ্ঞান করা উচিত নয়। কারণ শখ কখনো অবহেলিত হতে পারে না। এটি জীবনকে উপভোগ্য করে তোলে। পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনের অনেক কাজেই সাহায্য করে। তাই প্রতিটি মানুষের জীবনে অন্তত একটি শখ থাকা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শখ কী কী কাজে লাগে।


কর্মক্ষেত্রে কাজের স্পৃহা বাড়ায়

শখ মানেই এমন একটি কাজ যা দ্বারা মানুষ তার মনের ক্ষুধা মেটায়। এতে মন নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। মন ভালো থাকলে কাজের স্পৃহাও বাড়ে। আর এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। এছাড়া একটি সৃজনশীল শখ মানুষকে তার কর্মক্ষেত্রে আলাদা একটি পরিচয় দিতে পারে। শখ মনকে প্রফুল্ল করে। যা ব্যক্তিকে অফিসের যেকোনো কাজ উৎসাহের সঙ্গে করতেও সাহায্য করে। এক সময় অফিসের বা বন্ধু মহলের সবার মধ্যমনিও হয়ে উঠা যায়। শখের কাজগুলো কর্মক্ষেত্রের বিশেষ দক্ষতা হিসেবেও যুক্ত হতে পারে। যা দিয়ে সহজেই ভালো চাকরির সন্ধান করতে পারবেন।


আত্মবিশ্বাস বাড়ায়

যান্ত্রিক জীবনে কাজের চাপে অনেক সময়ই ভর করতে পারে ক্লান্তি। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্লান্তি কাটিয়ে আবার সতেজ হয়ে উঠতে হয়। জীবনকে করে তুলতে হয় উপভোগ্য। কিন্তু কারো জীবন যদি উপভোগ্য না হয়, তাহলে তার জীবনে ক্লান্তির পাশাপাশি নেমে আসতে পারে হতাশা। আর হতাশা থেকে দেখা দিতে পারে আত্মবিশ্বাসের অভাব। কিন্তু শখ যেমন আপনাকে সৃজনশীল করে তুলবে, তেমনি করে তুলবে আত্মবিশ্বাসী। আর আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো কাজ হয়ে উঠবে আরো সহজ।


মানসিক চাপ ও অবসাদ দূর করে

যারা শখের বশে বারান্দা, ছাদ বা উঠানে বাগান করেন, তারা মন খারাপ থাকলেই চলে যান সেই বাগানে। আবার যারা বাদ্যযন্ত্র বাজান, তারা তাদের সকল রাগ, দুঃখ, অবসাদ দূর করেন সেই বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে। অর্থাৎ, শখ বা ভালো লাগার কাজ আপনার মানসিক চাপ ও অবসাদ দূর করে। এটি গবেষণায়ও প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু মানসিক অবসাদ দূর করা নয়, শখ অপানার মনোযোগ বৃদ্ধি করে, দূর করে নেতিবাচক চিন্তাধারা।


শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়

শখ মানুষের শারীরিক অবস্থারও উন্নতি ঘটায়। নিজেকে জানতে সাহায্য করে। চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে। মানুষকে সামাজিক করে তোলে। তাছাড়া শখ পূরণে মন ভালো থাকে। আর মন ভালো থাকলেই শরীরও ভালো থাকবে।