প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার হয়ে আসছে। এই উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ত্বকের যত্নে পাতার ব্যবহার। ত্বকের যত্নে নিম ও তুলসীর উপকারিতা সম্বন্ধে কমবেশি আমাদের সকলেরই জানা। তবে এই দুটি পাতা ছাড়াও আমাদের পরিচিত আরও অনেক পাতা আছে, যেসব পাতার রয়েছে অসাধারণ ওষধি গুণ। আর সেই গুণ ত্বক ও চুলর সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে খুব সহজে।
মুখের স্বাদ বাড়ানো বা খাবার হজম করার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা সমাধানে পানপাতার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ত্বকে ব্রণ থেকে অ্যালার্জির মত সমস্যার সমাধানে এই পাতা খুবই উপকারী।
ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করতে প্রথমে ৮-১০ টা পানপাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই পানি দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিস্কার করুন। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে তাড়াতাড়ি। এছাড়া পানপাতা হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে বেটে মুখে লাগালে ব্রণ দূর হয়। পাশাপাশি চুলের সমস্যার সমাধানে নারকেল তেলের সঙ্গে পানপাতা পেস্ট মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে চারবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে চুলের সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি।
বহু প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন অসুখের চিকিৎসায় পেয়ারাপাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পাতায় আছে অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল ,অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে।
প্রথমে ৩ টেবিল চামচ পেয়ারাপাতা বাটার সঙ্গে, ১/২ চামচ তুলসীপাতা, ১/২ চামচ গোলাপজল, সামান্য হলুদ ও ১ চামচ দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। পরিষ্কার ত্বকে প্যাকটি ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং টান টান। পাশাপাশি এই পাতার ব্যবহারে ত্বকের বার্ধক্য রোধ হয়। এছাড়া ব্রণ কমাতে পেয়ারাপাতার জুড়ি মেলা ভার।
আমপাতা ভিটামিন এ, সি এবং বিটা ক্যারোটিনে ভরপুর। বিটা ক্যারোটিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। পাশাপাশি ভিটামিন এ ত্বকে অতিরিক্ত তেলের উৎপাদন কমিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে।
প্রথমে ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে একটা আমপাতা বেটে তার সঙ্গে ৩ টেবল চামচ দুধ মিশেয়ে সপ্তাহে তিন দিন লাগান। এভোবে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।