ছেলেদের পুরুষত্ব ফুটে ওঠে দাড়িতে। গালভরা দাড়ি, তাতে ফ্যাশনেবল কাট দিয়ে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে ছেলেরা। কিন্তু যাদের গালভরা দাড়ি নেই! তাদের দুঃখেরও শেষ নেই। কারণ ফ্যাশন করতে দাড়িকে স্টাইলিশ করা ছেলেদের শখের অংশ।
সাধারণত হরমোন সমস্যার কারণে কারও কারও মুখে দাড়ি গজায় না। কিন্তু মন খারাপ করার প্রয়োজন নেই। কারণ কিছু খাবার খেলে হরমোন সমস্যা কমবে এবং দাড়িও গজানো শুরু হবে। মানে কিছু খাবার আপনাকে ঘন দাড়ি পেতে সাহায্য করবে।
দাড়ি গজানো বা ঘন হওয়ার জন্য যেসব খাবার খাবেন তা নিয়েই থাকছে আজকের আয়োজন।
কাঠবাদাম পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রেশন ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। প্রতিদিন ৩০ গ্রাম পরিমাণ কাঠবাদাম খাবেন। একটানা ৩০ দিন খেয়ে দেখুন। দ্রুত দাড়ি গজাবে।
কমলা লেবুতে ভিটামিন সি আছে। প্রতিদিন একটি করে কমলা খাবেন। যা দাড়ি গজানো ও ঘন করার জন্য উপকারী।
ছোলা খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন এবং ক্যালরি থাকে, যা শরীরে শক্তি জোগায়। শরীরে পুষ্টি উপাদান সরবারহ করে। খালি পেটে সকালে কাঁচা ছোলা খান। দ্রুত দাড়ি গজাবে।
পেঁয়াজের রস লাগাতে পারেন। মুখের ওপর লাগালে দাড়ি বাড়বে। পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার এই কাজ করে।
শরীরচর্চা করুন। মুখমণ্ডলে রক্ত-সঞ্চালন বাড়বে, যা দাড়ি বৃদ্ধি করবে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খাবেন, যা দাড়ি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
ত্বকের বা শরীরের যেকোনো সমস্যা দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘুম কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম দেবেন। দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে।
বাইরে থেকে এসে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন। সপ্তাহে অন্তত একদিন স্ক্রাবিং করুন। স্ক্রাবিংয়ের ফলে মুখের মৃত্যুকোষ উঠে যায়। রক্ত চলাচল বাড়ে। এছাড়া সকালে ও সন্ধ্যায় একবার করে গরম পানিতে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডিম, মাছ ও মাংস খেতে হবে। ভিটামিন ও মিনারেলস বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। মানসিক চাপে থাকলে হরমোনের ভারসম্য ঠিকমতো বজায় থাকে না। এতে দাড়ি ভালোভাবে গজায় না।
বেশি বেশি দাড়ি কামাবেন না। বেশি দাড়ি কামালে এটি শক্ত হয়ে যায়। এতে দাড়ি গজানোও কমে যায়। চেষ্টা করবেন, মাসে একবার দাড়ি কামাতে।
মাথার চুলের মতো দাড়িও নিয়মিত চিরুনি ও ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নিন। এতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে।