দেশজুড়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছেই। তবে থেমে নেই বিয়ের আয়োজন। বিয়ের দিনক্ষণ আগেই ঠিক করা থাকে। তাই কোনোভাবেই তা পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে না। নিয়ম মেনে বিয়ের আয়োজন তো করতেই হবে। আপনিও কি তাই করছেন?
বিয়ের আয়োজন এখন শখের অংশ। স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি দিন। এই আয়োজনকে নিয়ে থাকে কতই না প্রস্তুতি। কিন্তু করোনা মহামারিতে ওমিক্রনের ভয়াবহতার কথাও ভুলে থাকলে চলবে না। বছরের শুরুতেই অনেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। এখনো অনেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাই এখনই সতর্ক হোন। নিজের পরিবার আর স্বজনদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিয়ের আয়োজনে নিন বাড়তি সতর্কতা।
বিয়েতে স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো সাধারণ সামাজিক রীতি। কিন্তু ওমিক্রনের কথা চিন্তা করে সেই তালিকা একটু কাটছাঁট করুন। মানে ঘনিষ্ঠ স্বজনদের নিয়েই বিয়ের আয়োজনটি সেরে নিন। বন্ধুদের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে পাশে রাখতে পারেন। বিষয়টি বর ও কনেপক্ষের উভয় দিকেই মানতে হবে। দুই পক্ষ থেকেই অতিথিদের তালিকা নিয়ে আরও একবার ভেবে দেখুন। মহামারির পরিস্থিতিতে অনেকেই বিষয়টি সুন্দরভাবেই দেখবেন।
বিয়েতে বেশ কয়েকটি আয়োজন থাকে। মেহেদি, হলুদ, বিয়ে, বউভাতসহ আরও কত কী। ওমিক্রন সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এগুলোকে সংক্ষিপ্তি করুন। মানে দুই পক্ষের হলুদ ও রিসিপশনের অনুষ্ঠান একসঙ্গেই করে নিতে পারেন। বাকি আয়োজন ঘরোয়াভাবেই সেরে নিন।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করুন। বড় স্থানে বিয়ের আয়োজন রাখুন। যেন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সহজ হয়। বিয়েতে অতিথিদের উপহারস্বরূপ মাস্কের ব্যবস্থা করতে পারেন। অনেকেই বাড়ি থেকে মাস্ক নিতে ভুলে যেতে পারেন। তাদের জন্য় উপহারের মাস্ক সুরক্ষা দেবে। সেই সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটারাইজ ব্যবহারেরও ব্যবস্থা রাখুন।
ওমিক্রন পরিস্থিতিতে বিয়ের আয়োজনে বেশি দূর যাবেন না। অতিথিদের সুবিধা হবে এবং নিজের বাড়ির কাছাকাছি হবে এমন স্থান বেছে নিন। পার্টি সেন্টারের আশপাশের পরিবেশ কতটা স্বাস্থ্যকর, সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখবেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া আছে কি না, তা খেয়াল রাখুন। এ ক্ষেত্রে বিয়ের কার্ডে উল্লেখ করে দিতে পারেন। বিয়েতে অংশগ্রহণের শর্তসাপেক্ষে করোনা টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে পারেন।
অনুষ্ঠানের প্রবেশের সময় গেটের কাছে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত সতর্কবার্তার পোস্টার রাখতে পারেন। অনেকেই প্রবেশ দ্বারে এটি খেয়াল করবেন। আপনার অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা কতটা জরুরি, তা আগেই বুঝে নেবেন।
বিয়ের কেনাকাটাতেও সাবধান হতে হবে। অনেক ঘোরাঘুরি না করে এক স্থান থেকেই কেনাকাটা সেরে নিন। যেগুলো অনলাইনে কেনা সম্ভব, তা সেখান থেকেই কিনুন। তাছাড়া শপিং শেষে বাড়িতে ফিরে ব্যাগসহ জিনিসগুলো আলাদা স্থানে রাখুন। অন্তত দুই দিন আলাদা করে রাখুন।
বিয়ের আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে খাওয়াদাওয়া। বিয়ের খাওয়া ভালো হলে অতিথির সবাই খুশি থাকে। তাই খাওয়াদাওয়ার আয়োজনেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ওমিক্রন সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানো এড়াতে অবশ্যই ক্যাটারিংকে করোনাবিধি মানার ওপর জোর দিন। প্রয়োজনে নিজে উপস্থিত থেকে পুরো আয়োজনটি সামাল দেবেন।