বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই নদীতে কয়েন বা পয়সা ফেলার রীতি রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, নদীতে কয়েন ফেললে মনের বাসনা পূরণ হয় এবং সৌভাগ্য আসে। যদিও এটি কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে বিশেষজ্ঞরা এটাও জানিয়েছেন যে, নদীতে কয়েন বা পয়সা ফেলার পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।
বিদেশের কয়েকটি দেশেই নদীর পানিতে কয়েন ছুঁড়ে ফেলা হয়। আবার অনেক হ্রদ বা ঝর্ণার পানিতেও কয়েন বা পয়সা ফেলতে দেখা যায়। চোখ বন্ধ করে পয়সা ছুঁড়ে দিলে তা যদি নদীর পানিতেই পড়ে তাহলেই মনের বাসনা পূরণ হয়। এমন ধারণা থেকে পর্যটকরাও সেসব স্থানে যান এবং পয়সা পানি ছুঁড়ে ফেলেন। তবে এতে মনের বাসনা পূরণ না হলেও বৈজ্ঞানিক কারণ অবশ্যই রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রাচীন সময়ে তামার মুদ্রার প্রচলন ছিল। ওই সময় নদীর পানীই পান করা হতো। মানুষের শরীরের জন্য তামা খুব উপকারি ধাতু। পানির মাধ্যমে শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তামা যায়, তা নিশ্চিত করার জন্যই এই প্রথা চালু করা হয়। পানিতে তামার পয়সা ফেলে ওই জলাধারের পানি শুদ্ধ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। তবে পরবর্তী সময়ে তামার পয়সার চল বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই জায়গায় স্থান পায় অন্ধ বিশ্বাস। মনের ইচ্ছে পূরণের বিশ্বাস। সেই থেকেই নদীতে পয়সা ফেলার রীতি এখনও বেশ প্রচলিত রয়েছে।