বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড় খেয়ে পুরুষত্বের প্রমাণ!

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ১০:৫০ এএম

নানা কুসংস্কারে এখনও আচ্ছন্ন থাকে বিশ্বের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল। বিশ্বজুড়ে এখনও এমন জাতি রয়েছে যারা কুসংস্কারের উপর ভিত্তি করে উদ্ভট কাজ করে। তেমনই একটি জাতি হচ্ছে আমাজনের সাতেরে মাওয়ে উপজাতি। যেখানে পুরুষদের পুরুষত্বের প্রমাণ দিতে হয় বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড় খেয়ে।

বহু বছর ধরেই চলে আসছে এই প্রথা। বুলেট নামক ভিমরুলের আকৃতির পিঁপড়ার বিষাক্ত কামড় খেয়ে প্রমাণ দিতে হয় পুরুষত্বের। কামড় সহ্য করতে পারলেই হওয়া যাবে প্রকৃত যোদ্ধা, প্রকৃত পুরুষ।

দ্য গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে জানায়,  সাতেরে মাওয়ে উপজাতির এক পুরুষকে সারা জীবনে ২০বার এই বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড় সহ্য করতে হয়। পিঁপড়াগুলোকে জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা হয়। এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পুরুষদের হাজির করে পিঁপড়ার কামড় খাওয়ার ব্যবস্থা করা। পাতা দিয়ে তৈরি পিঁপড়ার গ্লাভসটি পুরুষদের পরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা করা হয়।

আমাজনের এই পিঁপড়ার নাম প্যারাপোনেরা ক্লাভাটার। এই পিঁপড়ার এক কামড়ে ২৪ ঘণ্টা ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথা গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতোই যন্ত্রণাদায়ক। অনেকেই এই ব্যথা সহ্য করতে পারে না। অজ্ঞানও হয়ে যায়। কিন্তু যে পুরুষরা শেষ পর্যন্ত সহ্য়  করে থাকতে পারেন তারাই বীরপুরুষের খেতাব পান।

স্থানীয়রা জানায়, একজন পুরুষের যখন ১২ বছর হয় তখনই এই পরীক্ষা দিতে হয়। কম বয়সীরা ৫ মিনিট সহ্য করতে পারে। পরে তারা ১০ মিনিট কিংবা কেউ কেই আরও বেশি সময় এই পরীক্ষা দেন।

পুরুষরা যখন পিঁপড়ার কামড়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে থাকেন, তাদের উত্সাহ দিতে গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। শুধু তাই নয়, এই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সাতেরে মাওয়ে উপজাতি পুরুষরা পছন্দের নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার অনুমতি পান।