আপনি আজ হয়ত নতুন একটা জামা পরলেন। আপনার এক প্রতিবেশি বা আত্মীয় এসে বললো জামাটা ভালো হয় নি কিংবা জামাটা ছোট হয়েছে। পাল্টে ফেলো- এই যে আপনার জীবনে এসে আরেকজন নাকটা গলিয়ে দিল সেটা আপনার ভালো লাগে নি। কিংবা আপনি আর আপনার সঙ্গী কথা বলছেন, কেউ হয়ত সেখানে এসে ঢুকে পড়ে কোন কিছু বলে বসলো। এই বিষয়টি আপনার ভালো লাগেনি কিন্তু কিছু বলতেও পারলেন না। আর এভাবে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ আপনার ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে পড়ে নাক গলাচ্ছে। এই নাক গলানো অর্থ অনধিকারচর্চা। আর এটা আমাদের অনেকের মধ্যেই আছে। এতে আপনি বিরক্ত হলেও কিছু বলতে পারছেন না। বিষয়টা খুব বিরম্বনার। নিজের জীবনে অন্যের নাক গলানো ভালো না লাগলেও অনেক সময় বলতে পারেন না অনেকেই। হজম করা যায় না আবার ফেলতেও পারেন না। এমন অবস্থায় কী করবেন? জেনে নিন নিজের ব্যক্তিগত জীবনে অন্যের নাক গলানো বন্ধ করবেন কীভবে-
নিজের জীবনের কথা কাকে কাকে বলবেন আগে থেকেই সীমানা টানুন। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কতটুকু কথা কাকে বলবেন সেটা নিজে আগে ভাবুন। সবাইকে সব কিছু বলতে গেলেই সেও আপনার জীবনে নাক গলানো শুরু করবে। বিশেষ করে নিজের সব কিছুই আত্নীয় ঘনিষ্ঠ হলেও বলবেন না। যতটুকু বলার দরকার ততটুকুই বলেন।
যে আত্মীয়েল অন্যের বিষয়ে নাক গলানোর অভ্যাস আছে তাকে নানা ভাবে বুঝিয়ে দিন ব্যক্তিগত পরিসরে অযথা নাক গলানো একেবারেই পছন্দ করেন না আপনি।
নানা কারণেই সঙ্গীর সঙ্গে মত বিরোধ হতে পারে আপনার। মতবিরোধ হলেই সবার সামনে তার সঙ্গে তর্ক বিতর্কে লেগে যাবেন না। তাতে আপনার আশেপাশের লোকজন সুযোগ পাবে আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলানোল। এই সুযোগে হয়ত অনেকে অনেক কিছু শুনবে এবং পরে সেগুলো নিয়েও আপনাকে বিরক্ত করবে।
যখনই দেখছেন আপনার বিষয়ে অন্য কেউ নাক গলাচ্ছে কিংবা কৌতূহল দেখাচ্ছে এবং সেটা আপনার পছন্দ হচ্ছে না তখনই বিষয়টা পাল্টে দিন। তাকে তার বিষয়ে প্রশ্ন করুন। তার শারীরিক নানা বিষয়ে খোঁজখবর নিন। তখন সে আপনার বিষয়ে নাক গলানোর সুযোগ পাবে না।
সবচেয়ে ভালো হয় যে আপনার বিষয়ে নাক গলাচ্ছে এবং সেটা আপনার ভালো লাগছে না সেটা তাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিন। তাতে সে কষ্ট পেলেও এ ধরণের অভ্যাস থেকে দূরে সরে আসবে।