সাধানত আমরা দেখি সন্তান জন্ম দেওয়া, লালন পালন মায়েরা করে থাকে। তবেই এটাই পরম ধারণা না। ব্যতিক্রমও আছে। পৃথিবীতে এমন এক প্রাণী আছে যাদের গর্ভধারণের দায়িত্ব পুরুষ প্রজাতির। এরা মূলত সি-হর্স এবং এই জাতীয় মৎস্য যেমন পাইপ ফিশ এবং সি-ড্রাগন।
সিংনাথিডি পরিবারের মৎস্য গোষ্ঠীর পুরুষেরা গর্ভে সন্তান ধারণ করে। সন্তান লালন পালনের কাজটাও এরা করে থাকে। এরা সবাই সামুদ্রিক প্রাণী। এদের শারীরিক গঠনই শিশু ধারণ ও লালন পালনের দায়িত্ব তাদের কাছে স্থানান্তরিত করে।
সি-হর্স জাতীয় মৎসগোষ্ঠীর প্রাণীটি প্রথমে স্ত্রী তার পুরুষ সঙ্গীর ‘ব্রুড পাউচ’ নামের থলিটির মধ্যে ‘Actinopterygii’ নালি ঢুকিয়ে ডিম স্থানান্তর করে। মাত্র ৬ সেকেন্ডের মধ্যে স্ত্রী সি-হর্স তার পুরো ডিম্বাণু ঢেলে দেয় পুরুষের থলির মধ্যে। পুরুষ প্রাণীটি ডিমগুলো সেই থলির মধ্যে তা দেয়। নিষিক্ত হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর ছানা ফুটে বের হয়ে আসে। দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হয়ে আসে। এসময় তাকে ১২ ঘন্টা প্রসব বেদনা সহ্য করতে হয়। এই পুরো সময়ে জীবাণু সহ সব প্রতিকূল অবস্থা থেকে ডিমকে রক্ষা করে পুরুষ প্রাণীটি।
সি-হর্সের আরেকটি বৈশিষ্ট হলো এরা লেজ দিয়ে কোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। এমনকি গিরগিটির মতো রংও পাল্টাতে পারে।