দৈনন্দিন জীবনে যে জিনিসটা অনেক বেশি দরকারি তা হলো স্মার্টফোন। অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং সবই হয় মোবাইলে। আপনি যদি কোন তথ্য চান তার জন্যও নির্ভর করতে হয় স্মার্টফোনের উপর। আর এই ফোন যদি কাজের মধ্যে থমকে যায় কেমন লাগে বলুন তো! নিশ্চয় বিরক্ত হোন। আর যদি বার বার ফোন হ্যাং করে তাহলে তো কথায় নাই, কাজের ক্ষতি হয়। তাই ফোন বার বার হ্যাং করলে সেটা বন্ধ করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-
ফোন হ্যাং হলে প্রথমেই ফোন রিস্টার্ট করতে হবে। ফোনটি রিস্টার্ট করলে র্যাম রিফ্রেশ হয়। তখন এই সমস্যা দূর হয়।
সাধারণত সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি, কম ধারণক্ষমতা, কম গতির প্রসেসর বা র্যাম ব্যবহার করলে ফোন হ্যাং হয়। এ থেকে বুঝা যায় ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে সেটি হ্যাং করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল স্টোরেজ থেকে দেখে দেখে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস, ফাইল ডিলিট করে দিন। স্টোরেজ খালি হলে এই সমস্যা কমে যাবে।
কখনো কখনো অ্যাপ বা পুরোনো সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেমের কারণেও ফোন হ্যাং হতে পারে। আবার কখনও কখনও বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করার ফলে ক্যাশ মেমোরি জমা হয়। তাই অ্যাপ ক্যাশ ক্লিয়ার করলে ফোনের গতি স্বাভাবিক হয় ও ফোন হ্যাং করার সমস্যা দূর হয়।
ফোনে থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখুন। এক সঙ্গে একাধিক অ্যঅপ চালু থাকলে র্যামের উপর চাপ পড়ে, ফোন হ্যাং করে। এ ক্ষেত্রে ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ ম্যানেজার ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ফোর্স স্টপ করতে পারেন।
পুরোনো সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম ফোনকে অনেক সময় ধীর করে দেয়। যার কারণেও হ্যাং করতে পারে। যদি নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহারের সময় ফোন হ্যাং হয়, তবে বুঝতে হবে অ্যাপটিতে সমস্যা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে নিয়মিত অ্যাপস আপডেট করুন।
ফোনের অ্যানিমেশন বা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসগুলো ফোনের র্যাম এবং প্রসেসরের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে ফোনের ডেভেলপার অপশন চালু করে অ্যানিমেশন স্কেল কমিয়ে দিতে পারেন।
হার্ডওয়্যার সমস্যার কারণেও ফোন হ্যাং হয়ে যেতে পারে। তাই ফোনের সফটওয়্যার পুরোনো হলে ফোনে সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘সফটওয়্যার আপডেট’ অপশন থেকে এটি পরীক্ষা করে নিন।