সংসারের কেনাকাটা হয় মাসের শুরুতেই। কাঁচা বাজার প্রতিদিন কেনা হয়। কিন্তু সংসারের চাল, ডাল, আটা-ময়দা, লবণ বেশি পরিমাণে কিনে রাখা হয়। দীর্ঘ সময় মজুদ রাখা চালে পোকা ধরে যায়। চাল থেকে পোকা ছাড়িয়ে রান্না করা বেশ ঝঞ্জালের কাজ। তাই পোকা ধরার আগেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে চাল সংরক্ষণে রাখুন। এরপরও চালের পোকা ধরলে তা দূর করার কিছু পদ্ধতি জানুন।
চাল সংরক্ষণের জন্য় সব সময় এয়ার টাইট ফুড কন্টেইনার ব্যবহার করতে হবে। এয়ার টাইট কন্টেইনারে চাল রাখলে পোকা ধরবে না। চালে স্যাঁতস্যাঁতে ভাবও আসবে না। বড় এয়ারটাইট কন্টেইনারে রাখুন। যেন পর্যাপ্ত চাল এঁটেও আরও জায়গা থাকে।
চালের পরিমান যদি বেশি হয়ে থাকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রাখুন।
চালের পোকা ধরে গেলে কিছু নিমের পাতা এতে রেখে দিন। নিম পাতা না পেলে তেজপাতা রেখে দিতে পারেন। চালের পোকা চলে যাবে। চাল সংরক্ষণের সময়ই নিমপাতা দিয়ে দিন। চালে পোকা ধরবেই না।
চাল সংরক্ষণের পাত্রটি সব সময় ঠান্ডা জায়গায় রাখুন। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বা গরমের মধ্যে চালের পাত্র রাখবেন না। চাল শেষ হলে গেলে পাত্রটি ভালোভাবে পরিস্কার করে শুকিয়ে নিন। এবার নতুন করে এতে চাল সংরক্ষণ করুন।
চালের পাত্রটি যেই স্থানে রাখছেন, সেখানে আগে থেকে কীটনাশক স্প্রে দিয়ে নিন। জায়গাটি ভালোভাবে পরিস্কার করে চালের পাত্রটি রাখুন।
চালের পরিমাণ কম হলে পাত্রটি ফ্রিজেও রেখে দিতে পারেন। ৪ থেকে ৫ দিন রেখে পাত্রটি বের করে দেখুন। সব পোকা মরে যাবে।
চাল কেনার পর বস্তায় থাকলে তা বের করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রাখুন।
চালের পোকা ধরলে অনেকেই রোদে শুকোতে দেন। এতে পোকা দূর হয়। তবে সেই চাল রান্নার পর ভাতের স্বাদ কমে যায়। এক্ষেত্রে চাল সরাসরি রোদে দিবেন না। বরং কৌটাসহ রোদে দিন। চালের গুণাগুণও ঠিক থাকবে।