ঈদ মানেই আনন্দ। নতুন পোশাক পরে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবের বাড়ি ঘুরে বেড়ানো হয়। ঈদ কোলাকুলি, ঈদ সালামির মধ্যেই কেটে যায় ঈদের দিনটি। সেই সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে মিলনমেলারও আয়োজন করা হয়। নিজের বাড়িতে সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়। নয়তো অন্যের বাড়ির অতিথি হতে হয়। এবারের ঈদ আয়োজন যদি আপনার বাড়িতে হয় তবে খাবারের স্পেশাল কী করবেন, ঠিক করেছেন?
ঈদের দাওয়াত মানেই সুস্বাদু ও ব্যতিক্রমী রান্নার আয়োজন। মাংস, বিরিয়ানি, মিষ্টান্নসহ নানা স্বাদের খাবার থাকে এই বিশেষ দিনে। এখানে পাঁচটি স্পেশাল রেসিপি দেওয়া হলো, যা আপনার ঈদের দাওয়াতকে আরও আকর্ষণীয় করবে।
হায়দারাবাদি মটন দম বিরিয়ানি
যা যা লাগবে
যেভাবে বানাবেন
মটনের সঙ্গে দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, ভাজা পেঁয়াজ ও মসলা মিশিয়ে ২ ঘণ্টা মেরিনেট করুন। চাল ধুয়ে আধা সিদ্ধ করে নিন। হাঁড়িতে ঘি দিয়ে মেরিনেট করা মাংস দিন, তারপর এর ওপরে আধা সেদ্ধ চাল দিন। জাফরান দুধ, পুদিনা-ধনেপাতা ও ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিন। ঢাকনা বন্ধ করে হালকা আঁচে দমে রাখুন ৩০-৪০ মিনিট। পরিবেশনের সময় মাংস ও চাল ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
আফগানি মাটন কারি
যা যা লাগবে
যেভাবে বানাবেন
ঘি গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নরম হলে আদা-রসুন বাটা দিন। টমেটো, মসলা ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। মাটন যোগ করে কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। দই মিশিয়ে ঢেকে দিন এবং ৪০-৫০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাংস নরম হলে কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন।গরম গরম পরিবেশন করুন নান বা পরোটার সঙ্গে।
লখনৌি গালৌটি কাবাব
যা যা লাগবে
যেভাবে বানাবেন
মাংসের কিমার সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে ২ ঘণ্টা মেরিনেট করুন। ছোট ছোট বল তৈরি করে চাপ দিয়ে কাবাবের আকার দিন। হালকা ঘি দিয়ে প্যানে মাঝারি আঁচে সোনালি করে ভাজুন। রুটি, পরোটা বা নানের সঙ্গে গরম পরিবেশন করুন।
শাহী টুকরা
যা যা লাগবে
যেভাবে বানাবেন
পাউরুটির টুকরোগুলো ঘি দিয়ে ভেজে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে কনডেন্সড মিল্ক, চিনি ও এলাচ গুঁড়া মেশান। দুধ ঘন হয়ে এলে পাউরুটির টুকরা দিয়ে ৫-৭ মিনিট জ্বাল দিন। বাদাম-পেস্তা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
মালাই কুলফি
যা যা লাগবে
যেভাবে বানাবেন
দুধ জ্বাল দিয়ে চিনি, কনডেন্সড মিল্ক ও এলাচ মিশান। কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না ঘন হয়। বাদাম-পেস্তা গুঁড়া মিশিয়ে নামিয়ে নিন। কুলফির ছাঁচে ঢেলে ৬-৮ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা পরিবেশন করুন।