আফগানিস্তান এখন তালেবানদের দখলে। বলতে গেলে প্রায় বিনা বাধায় তারা আশরাফ গনি সরকারকে বিদায় করেছে। আফগানিস্তানে এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে শুধু স্থানীয় নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এসব নিয়ে কথা বলার জন্য সংবাদ প্রকাশ যোগাযোগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের সঙ্গে। তিনি সংবাদ প্রকাশের ‘সাম্প্রতিক’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন গত ১৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে এবং আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সংবাদ প্রকাশের অনলাইন প্রধান বিধান রিবেরু। সেই অনুষ্ঠানেরই কিছু অংশ এখানে দেয়া হলো।
সংবাদ প্রকাশ: আফগানিস্তানের এই পটপরিবর্তনের পূর্বাপর সংক্ষিপ্ত করে জানতে চাই। পাশাপাশি জানতে চাই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎটা কী?
ইমতিয়াজ আহমেদ: প্রথমে যেটা বলতে চাই আমেরিকা এবং তার বেশ কিছু ন্যাটো পার্টনার মিলে কিন্তু কখনোই পুরো আফগানিস্তান দখল করতে পারেনি। এখন যেভাবে একটার পর একটা শহর পতন হচ্ছে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে হয়তো পুরো কাবুল তালেবানের হাতে চলে আসবে। বোঝাই যাচ্ছে যে ২০ বছর ধরে আমেরিকা ৬০ শতাংশের ওপরে আফগানিস্তান কখনোই দখল করতে পারেনি। বরং শহরকেন্দ্রিক একটা দখল ছিল। আমরা দেখছি গত সাত দিনে একেকটা শহরের পতন হচ্ছে অনেকটা বড় ধরনের সংঘর্ষ ছাড়াই। অন্য কথায়, আফগান জনগণের একটা বড় সমর্থন আছে।
মনে রাখতে হবে, আমেরিকা যেভাবে আফগানিস্তানে ছিল একেবারেই একটা কলোনিয়াল ফোর্স (ঔপনিবেশিক শক্তি) হিসেবে। সেখানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নারী-শিশু মারা গেছে। বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। অ্যান্টি-কলোনিয়াল ফোর্সের বিরুদ্ধে আফগানরা যে দাঁড়াবে না, সেটা অবাক হওয়ারই বিষয় ছিল, কারণ আফগানের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় সব সময় তারা কলোনিয়ার ফোর্সের বিরুদ্ধে কিন্তু তাদের একটা অবস্থা ছিল। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধেও তারা ছিল। ব্রিটিশ চেষ্টা করেছিল, পারেনি। সোভিয়েত ইউনিয়ন চেষ্টা করেছিল, তারাও পারেনি। এখন আমরা দেখলাম আমেরিকাও পারল না। আমি খুব একটা অবাক হচ্ছি না। কারণ, ২০ বছরে আফগানিস্তানের বড় একটা অংশ তালেবানদের হাতেই ছিল। বোঝা যাচ্ছে, জনগণের সঙ্গে যদি সম্পর্ক না থাকে এবং যে নৈতিক কর্তৃত্ব নিয়ে আমেরিকা গিয়েছিল, সেটা কিন্তু কখনোই করতে পারেনি। যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, এমনকি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে কিন্তু আমেরিকার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আফগানরা যে দাঁড়াবে না, সেটাই বরং অবাক কাণ্ড। আমি মনে করছি, এখন যেটা হচ্ছে, এটাই হওয়া স্বাভাবিক।
সংবাদ প্রকাশ: বিপুল সময় এবং অর্থ ব্যয় করে এতদিন পর্যন্ত থাকল আমেরিকা, শেষ পর্যন্ত একটা আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরি করে তারা চলে গেল। ভিয়েতনামের কথা যদি বলি, তাহলেও তো একটা শিক্ষা গ্রহণ করার কথা ছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের, এই যে ঐতিহাসিক ভুল বারবার তারা করছে, এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
ইমতিয়াজ আহমেদ: এটার দুটো দিক আছে। একটি হলো, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে আমেরিকা কোনো জায়গায় বিজয়ী হয়েছে, এটা দেখা যায়নি। কোরিয়া যুদ্ধেও যে বিজয়ী হয়েছে সেটা বলা মুশকিল। উত্তর কোরিয়া ভাগ হয়ে গেছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামে তো প্রশ্নই উঠছে না। এমনকি লেবাননেও ঢুকেছিল, সেখান থেকে তারা বের হয়ে গেছে। ইরাকেও ঢুকেছে, ইরাকিরা তাদের হটাবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কোনো জায়গায় আমেরিকা বিজয়ী হয়েছে, এটা বলা মুশকিল। মনে রাখতে হবে, যেকোনো একটা বিদেশি ফোর্স যেই কারণেই প্রবেশ করুক না কেন, সঙ্গে সঙ্গে ওটা একটা উপনিবেশ শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। আমরা তো এখন উপনিবেশ আমলে নেই। এটা যদি তিন-চারশ বছর আগে হতো, তাহলে হয়তো একটা বিষয় ছিল। কিন্তু এখন যেখানে বিশ্বায়নের একটা যুগ, সেখানে এ ধরনের ঘটনা কেন আমেরিকা ঘটায়, সেটার পেছনে আমি মনে করি অন্য একটা কারণ আছে।
দ্বিতীয় হলো যে আমেরিকার পুরো অর্থনীতি একটা মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই যে আফগানিস্তানে যে ছিল, সেখানে দুই ট্রিলিয়ন ড্রলার খরচ করেছে। এই খরচের পেছনে বোঝাই যাচ্ছে যে এই মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়ালের কমপ্লেক্সের বিরাট লাভ হয়েছে। এবং ওখানে (আফগানিস্তানে) চার হাজারের একটু কম কনট্রাক্টর ছিল আমেরিকার। যারা বিভিন্ন কনট্রাক্ট পেয়েছেন, বিভিন্ন অস্ত্র দিয়েছেন, বিভিন্ন পোশাক দিয়েছেন। গ্রিন জোনে তাদের জীবনধারাই আলাদা ছিল। এই যে একটা কাঠামো তৈরি করে একেকটা দেশে গিয়ে, সেখানে যারা লাভবান হন, তারাই কিন্তু মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স চালায়। যখন মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স দেখে যে, এখন আর লাভ হচ্ছে না, তখনই তারা ভাবে, আচ্ছা ঠিক আছে এখান থেকে আমরা চলে যাই। এখানেই আতঙ্কের বিষয়।
এখানে আমি মনে করি যে, আমেরিকার জনগণের একটা বড় দায়িত্ব আছে তারা যদি এ বিষয়ে একেবারে সোচ্চার না হন, বড় আকারে বাধা না দেন এবং রাস্তায় না নামেন যে এই যুদ্ধ থামাতে হবে, তাহলে তো এই মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স আমি মনে করি একদিন আরও বড় সর্বনাশ নিয়ে আসবে। এমনিতে তার অর্থনীতির অবস্থা খুব একটা ভালো না। অতিমারি সে কোনোভাবেই সামাল দিতে পারছে না। অতিমারির হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, যে পরিমাণে প্রতিদিন শিশু পিস্তলের গুলিতে মারা যায়, বছরে যে পরিমাণ মানুষ অস্ত্রের দ্বারা মারা যায়, যে পরিমাণ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়, এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু কথা হচ্ছে, যেহেতু তার (আমেরিকা) প্রচুর সম্পদ আছে, এখনো তো বলতে গেলে অর্থনৈতিকভাবে একটা উন্নত দেশ। ওই উন্নয়ন দিয়ে কিন্তু মানুষ অনেক সময় ভুলে যায় এবং মিডিয়া যেহেতু তার দখলে, মিডিয়াও একটা ভূমিকা রাখে। সব মিলিয়ে এই যে ২০ বছরে এত মানুষ মরল, এত খরচ করল, এর দায়িত্বটা কে নেবে, এটা হলো প্রশ্ন। মানে, ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে যে যুদ্ধটা করেছে এটা অযৌক্তিক একটা যুদ্ধ।
আমেরিকার একেকজন প্রেসিডেন্ট মনে করেছেন যে আমার যুদ্ধ করতে হবে এবং সে হিসেবে মিডিয়াও ওভারপ্লে করেছে এবং সে হিসেবে আমরা যুদ্ধটা দেখলাম। কিন্তু এত মানুষ মারা গেল, এত টাকা খরচ করা হলো, এর দায়িত্বটা কে নেবে? আমার মনে হচ্ছে, এই যে মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স যেহেতু এই ধরনের যুদ্ধে সব সময় লাভবান হয, তারা কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় যদি যুদ্ধ না হয়, তাহলে কিন্তু ব্যবসাটাই কমে যাবে। সেই জায়গায় আমার মনে হয় দৃষ্টি দেওয়ার সময় এসেছে।
সংবাদ প্রকাশ: বারাক ওবামার আমল থেকে আমেরিকা এক ধরনের কৌশল হাতে নিয়েছে, প্রক্সি ওয়ার। সরাসরি তাদের সেনাবাহিনীকে যুক্ত না করে, প্রক্সি ওয়ারের মাধ্যমে এই ব্যবসাটা সক্রিয় রাখার চিন্তা করছে। আপনার কি মনে হয় আফগানিস্তানে তারা প্রক্সি ওয়ার চালু করতে পারে?
ইমতিয়াজ আহমেদ: প্রক্সি ওয়ারের বিষয়টা কিছুটা তো আমার মনে হয় সঠিক। এটা তারা একাধিকবার করেছে। একাধিক দেশ বা রিজিম আছে, যারা এ প্রক্সি ওয়ারের পক্ষে। একসময় পাকিস্তান এই প্রক্সি ওয়ারের পক্ষে অন্যতম ছিল। একসময় ইরানের রেজা শাহ পাহলভি যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখনো আমরা দেখেছি (আমেরিকার সহায়তা পেয়েছে)। বর্তমানে ইসরায়েলের কথা বলেন। ইসরায়েল আজকে যে রিজিমটা আছে, এরা টিকে আছে মূলত আমেরিকা যে পরিমাণে অস্ত্র সাহায্য দেয়, সেই হিসেবে ইসরায়েলের কাঠামো তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে এই মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স যেটা প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার তার বিদায়ী ভাষণে বলেছিলেন, এই মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স শেষ করে দেবে আমেরিকাকে। তিনি ভালোভাবেই এই জিনিসটা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমেরিকার জনগণ এটা নিয়ে সোচ্চার নন। কিছু আছেন, যারা এটা নিয়ে সোচ্চার আছেন। যেহেতু তাদের প্রচুর সম্পদ আছে, রিচ কান্ট্রি, সোফোক্লিসের একটি কথা মনে পড়ছে, ‘মানি ইজ দি মোস্ট ডিমোরালাইজিং থিং ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। ওই রিচনেস আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ছে।
আমরা যদি অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে ওদের ইনফ্রাস্ট্রাকচারও আজকাল ভেঙে পড়ছে। কারণ, সে তো বারবার যুদ্ধ করে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, যে ইতিহাস আমরা দেখছি আমেরিকার ২০-২২ বছর ছাড়া, প্রতিবছর তারা কোনো না কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। হয় তার যুদ্ধের একটা পরিস্থিতি দরকার, আর নয়তো যুদ্ধ করা দরকার, কারণ, তাকে তো অস্ত্র বিক্রি করতে হবে। এই যে মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের উপর তার অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে এবং যে পরিমাণে তার মিলিটারি বেস আছে, আনথিংকেবল। চারশটার ওপরে মিলিটারি বেস সারা পৃথিবীতে তাদের আছে। একেকটা বেস বিলিয়নস ডলার খরচ করা হয়। এই যে একটা কাঠামো তৈরি করেছে, এটাকে আমেরিকার জনগণ যদি পরিবর্তন না করে, তাহলে আমেরিকার যে ফরেন পলিসি এজেন্ডা আছে, দেখা যাবে কোনো নো কোনো জায়গায় গিয়ে সেটা মার খাবে। মনে রাখতে হবে, বিশ-তিরিশ বছর আগের যে বিশ্ব এখনকার বিশ্ব কিন্তু এক নয়। বলতে গেলে পৃথিবীর একাধিক দেশ কিন্তু জেগে উঠেছে। বড় আকারে আমরা চীনের কথা বলি, চীন ছাড়াও কিন্তু অনেকগুলো দেশ শক্তি সঞ্চয় করেছে। তুর্কি কিন্তু ছোটখাটো একটা ক্ষমতা রাখে। ইরানের কথাও অনেকে বলেন যে স্যাঙ্কশানে তারা বাধা। স্যাঙ্কশানের মধ্যেও কিন্তু সে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। উত্তর কোরিয়া প্রচণ্ড স্যাঙ্কশানে আছে, তারপরও তারা যে আইসিবিএম (পারমানবিক ক্ষেপনাস্ত্র) তৈরি করে। তার মানে তার তাদের ক্ষমতা আছে। ৯৯ শতাংশ তার সাক্ষরতার হার। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, বিংশ শতাব্দীর যে কাঠামো, সেটা কিন্তু এখন আর নেই। সেই জায়গায় আমি মনে করি সময় এসেছে আমেরিকার জনগণকে আরও সোচ্চার হওয়া।
সংবাদ প্রকাশ: আমরা শুনেছি যে বাংলাদেশের অনেকে, তালেবানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আফগানিস্তানে গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে যদি একটু বলতেন।
ইমতিয়াজ আহমেদ: বিশ বছর আগের বাংলাদেশে আর বিশ বছর পরের বাংলাদেশ কিন্তু এক না। যেকোনো জঙ্গি সংগঠনের পেছনেই, হয় রাষ্ট্রের একটা পৃষ্ঠপোষকতা থাকে, না হয় রাষ্ট্রের কোনো একটা গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকে। ২০ বছর আগে যারা এখানে তালেবান নিয়ে কথা বলছিলেন, রাষ্ট্রের একটা অংশের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। কিন্তু আমরা দেখছি বর্তমান সরকার বিশেষ করে হলি আর্টিজেনের পরে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একেবারে জিরো টলারেন্স পলিসি নিয়েছে। সে জায়গায় আমি বেশ একটা চিন্তিত না। তবে যারা এ বিষয়ে কাজ করেন, তাদের তো সচেতন থাকতে হবে। কারণ, যেকোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর যদি উত্থান হয় স্বাভাবিকভাবে এটাকে নির্মূল করার বিষয় থাকে। যেহেতু ২০ বছরের একটা বিষয় আছে, বাংলাদেশ যেহেতু এ ব্যাপারে একটা স্পষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিভিন্নভাবে ভিত্তি তৈরি করছে।
একটা নিউজ এ রকম এসেছে, কোনো এক পুলিশ কমিশনার বলছেন, যেটা ওনার এখতিয়ারে আসে না, বিদেশে যদি কোনো ফোর্স যায়, সেটা কিন্তু পুলিশের ব্যাপার না, পুলিশ কিন্তু হোম সিকিউরিটি দেখে।
আমি আশা করব, সবাই যেন সচেতনভাবে কথা বলেন, প্রমাণ নিয়ে যেন কথা বলেন, না হলে যেটা হবে যে গোষ্ঠীটা আছে তারা কিন্তু এটাকে নিয়ে নতুন একটা রাজনীতি চালু করবে এবং আমাদের একটা ভয় দেখানো হবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের ইমেজটা কিন্তু খারাপ হবে। সেই জায়গায় আমার মনে হয় সচেতন থাকা দরকার।