আফসান চৌধুরী একাধারে সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক ও গবেষক। ১৯৫৪ সালে ঢাকাতেই তার জন্ম। লেখাপড়া করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে বিভাগে। সাংবাদিকতা জীবনে ঢাকা কুরিয়ার, দ্য ডেইলি স্টার ও বিবিসি তে কাজ করেছেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র’ প্রকল্পের সঙ্গে, হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে, যুক্ত ছিলেন আফসান চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। গবেষণাধর্মী কাজের পাশাপাশি সৃজনশীল সাহিত্যেও রয়েছে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তিনি সম্প্রতি কথা বলেছেন সংবাদ প্রকাশ-এর সঙ্গে।
সংবাদ প্রকাশ : মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীতে আপনাকে শুভেচ্ছা। এই লগ্নে আপনার কাছে প্রশ্ন, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, কিন্তু রক্ষা করতে পারছি কি?
আফসান চৌধুরী : নিশ্চয়ই স্বাধীনতা রক্ষিত হয়েছে। এটা হচ্ছে মধ্যবর্তী শ্রেণির প্রশ্ন। মধ্যবর্তী শ্রেণির নিজের একটি ক্ষোভ। যেহেতু মধ্যবর্তী শ্রেণিরা দালাল শ্রেণির হয়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সারাক্ষণ দুঃখ করে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে গ্রামে। গ্রামের মানুষ করেছে, সাধারণ মানুষ করেছে। তাদের অবস্থান এই ৫০ বছরে অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে। তারা এতটা সবল কোনো দিন ইতিহাসে ছিল না। তাদের বহু সমস্যা আছে, বহু দুঃখ-কষ্ট আছে, তারপরও এতটা খারাপ ছিল না। যে শ্রেণি বাড়ি খেয়েছে, তা হলো মধ্যবর্তী শ্রেণি। মধ্যবিত্ত হলো নির্ভরশীল শ্রেণি। নির্ভরশীল শ্রেণি হিসেবেই তারা টিকতে চায়, বাঁচতে চায়। নির্ভরশীল মানুষের দুঃখ-কষ্ট সব সময় একটু বেশি থাকে। যে স্বনির্ভর হয়ে যায় তার তো দুঃখ-কষ্ট কমে যায়, তার আত্মমর্যাদা বোধ হয়। আমাদের দেশে এই জন্যই আমরা সব সময় অন্যের ওপর নির্ভরশীল। মধ্যবিত্ত শ্রেণি নির্ভরশীল হয়ে এ ধরনের প্রশ্ন তোলে—আমরা কি এই জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম? ঠিক এই জন্য না, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, কারণ পাকিস্তান আক্রমণ করছে, মানুষ মারছে, আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছি। এটাই সোজা কথা। আমরা এটাও পাই নাই, কোনোটাই পাই নাই। এ জন্য আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম— ভাই ঘৃণা করেছি, আমাদের মারছে, আমরা মারছি, এটাই তো করছি। এর সঙ্গে জনগোষ্ঠীর প্রস্তুতি, ঐতিহাসিক প্রস্তুতি যেটা, সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। এটা ২০০ বছর ধরে এ প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতির শেষ মুহূর্ত হচ্ছে ৭১। মানুষের ঐতিহাসিক প্রস্তুতি না হলে প্রতিরোধ করে কী করে। এত মানুষ সারা বাংলাদেশের। প্রতিরোধের ওপর আমাদের বই পর্যন্ত আছে। আর এই মধ্যবর্তী শ্রেণি কোনো বই পড়ে না, লেখাপড়া করে না, তারা নিজেদের ভাবনা নিয়ে ফেসবুকসর্বস্ব একটা মধ্যবিত্ত শ্রেণি যদি হয়, তাহলে ও আর কী হবে। উনি তো বাংলায় কথা বলে, বাংলায় পড়াশোনা করে, কলকাতার ইতিহাস পড়ে। উনি ভাবে, আহা আমার বাঙালি গেল কোথায়। উনি যদি হাইল্যার (হালচাষী) কাছে যেত, তাহলে বুঝত ইতিহাস তারা যেভাবে দেখে, মধ্যবর্তী শ্রেণি যেভাবে দেখে এক না।
সংবাদ প্রকাশ : আপনি কি মনে করেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাধীনতার সুফল পেয়েছে?
আফসান চৌধুরী : প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ইতিহাসে স্থান পায়নি, কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবস্থা ১৯৭১-এর সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যায় অনেক অবস্থা। যে দুটো শ্রেণি লালন হয়েছে, বড়লোক শ্রেণি, প্রান্তিক শ্রেণি। প্রান্তিক শ্রেণি এখন আর প্রান্তিক নেই। বাংলাদেশের ফরেন এক্সচেঞ্জের রিজার্ভ দেখেই বোঝা যায় যে প্রান্তিক শ্রেণি কতটা সবল। এবং বাংলাদেশের যে কৃষি উন্নতি যে কারও থেকে বেশি। বাংলাদেশের জিডিপি বাড়ল কী করে। বড়লোক আর প্রান্তিক শ্রেণির প্রচেষ্টায়। মধ্যবর্তী শ্রেণি বাদ পড়ে গেছে। মধ্যবিত্ত বাদ পড়ে গেছে কারণ, মধ্যবিত্ত সব সময় নির্ভরশীল ছিল। রাষ্ট্র গঠন যখন হয়, রাষ্ট্র সন্ধানের পরিসরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভূমিকা থাকে। ও তো সংস্কৃতিভিত্তিক, তার ইতিহাসভিত্তিক পরিচয় তো দালাল। বাঙালি মধ্যবিত্ত বলতে যেটা বলে ও তো দালাল। দালালির বাইরে তো ও কোনো কিছু করতে পারে না তো। যারা এখান থেকে বাইরে এসে কৃষক শ্রেণির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, এমন দুইজন মানুষ করেছে, একজন মানুষ তো নিজেই কৃষকদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন মওলানা ভাসানী, আরেকজন কৃষকদের শক্তিটা বুঝতে পেরে আন্দোলন করেছেন, তাঁর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। এই জন্যই তো ইতিহাসটা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার শক্তি হচ্ছে কৃষক সমাজ। সে কৃষক সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা করতে পেরেছে, তাদের অনুপ্রাণিত করতে পেরেছে তাঁর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। পছন্দ হোক বা না হোক, এই বাস্তবতা অস্বীকার করে লাভ নেই। সেই কারণেই যুদ্ধ হয়েছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি কখনো যুদ্ধ করে? ইতিহাসে সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণি নেতৃত্ব দেয় আর যুদ্ধটা করে কৃষক শ্রেণি। একাত্তরের পরে তো কৃষক শ্রেণির অবস্থা ভালো হয়েছে। যে কোনো ডেটা দেখলে বোঝা যায়। দুঃখ করে তো লাভ নাই। আমার গণতন্ত্র নাই, এটা নাই ওটা নাই। মধ্যবিত্ত কার জন্য করে, মধ্যবিত্তকে যারা কিছু দেবে। যেমন সে নির্বাচন চায়, কিন্তু নির্বাচন সে তুলে আনতে পারে না। কৃষকরা কিন্তু বলে না আমাকে একটা নির্বাচন দাও, কারণ গণতন্ত্র তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না, তার কাছে রুজি গুরুত্বপূর্ণ। সে কি কারও জন্য অপেক্ষা করছে যে, কেউ আমাকে এসে রুজির ব্যবস্থা করে দেবে। সে নিজের ব্যবস্থা নিজেই করে। সে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যায় বা চুরি ডাকাতি যা-ই করুক না কেন, সে নিজের ওপর নির্ভরশীল। এটাই হচ্ছে ঐতিহাসিক বাস্তবতা। ৭১ সালেও মধ্যবিত্ত শ্রেণিও দুর্বল ছিল। এবং ৭১ সালের বিভাজনটা এটাই পরিষ্কার করে দেয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল ছিল, মধ্যবিত্ত শ্রেণি তেমনভাবে সামনে দাঁড়ায়নি। তবে এটা ঠিক আজকের মধ্যবিত্ত শ্রেণি ইতিহাসচর্চাকে দখল করে আছে। কারণ, ওদের তো আর কিছু নাই, ওরা চর্চাটাকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিরোধটা দেখলেই তো বোঝা যায় যুদ্ধটা করেছিল কারা।
সংবাদ প্রকাশ : সম্পদের সুষম বণ্টনের অভাবে যে বৈষম্য এখন বিরাজ করছে, সেটিকে আপনি কীভাবে দেখেন এই সুবর্ণজয়ন্তীতে?
আফসান চৌধুরী : সুষম বণ্টন আছে, বৈষম্য আছে। যে শ্রেণিটা লড়াই করে, এখনো সমাজে সব থেকে বেশি লড়াই করে নিচের দিকের শ্রেণি। কারণ, সে দিচ্ছে। বৈষম্য হয়তো থাকবে। এখানে বৈষম্যটা প্রবলভাবে আছে, কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণিই কিন্তু এই বৈষম্যটাকে ধরে রাখে। মধ্যবিত্ত শ্রেণিই সেটার জোগান দেয়। কারণ, মধ্যবিত্ত শ্রেণি যেটা চায়, সেটার ওপর ভিত্তি করেই তো বৈষম্যটা তৈরি হয়। সবার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। এটা কি গরিব মানুষ করে। যে ইয়ুথটা লেবার হয়ে মিডল ইস্টে যায়, সে কি টেন্ডারবাজি করে? করে কারা, সে তো মধ্যবিত্ত শ্রেণি। সে মধ্যবিত্ত শ্রেণিটা বড়লোক হয়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে বড়লোক হওয়ার প্রচেষ্টাতে সে লাইনবাজি করে। যার জন্য রাজনীতিতে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনৈতিক দলে যায় কেন, এত কেন রাজনৈতিক দলে যায়? কারণ, সুবিধা হলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ব্যবসা করা যায়। এটা তো পরিষ্কার। এখানে জটিলতার কিছু নাই। এটা কি রাষ্ট্রের চেহারা কিনা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের একটা চেহারা না, যেকোনো রাষ্ট্রের একাধিক চেহারা থাকে। বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি আর উচ্চবিত্ত শ্রেণির যে সম্পর্ক তার চেহারা এটাই।
সংবাদ প্রকাশ : এই যে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয় উদ্যাপনের ভেতর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ সেভাবে দেখা যাচ্ছে না, সেটা নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
আফসান চৌধুরী : আমার প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি কখনো এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুযোগ দেয়নি ইতিহাসে। বড়লোকরা কেয়ারও করে না। যারা ক্ষমতাবান, তাদের কী এসে যাচ্ছে। কে ইতিহাস চায়, কে আসছে, কী আসছে না। আমাদের দেশে তো এমনও অদ্ভুত কথা আছে যে ’৫২ সাল থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ’৫২ সালের আগে যেটা হয়েছিল, সেটা কী ছিল। তারা জানেও না ’৪৭, ’৪৬, ’৪০, ’৩৭-এ কী হয়েছিল। শেখ মুজিবুরের ইতিহাসটাও পর্যন্ত জানে না। তার সঙ্গে কথা বলার কী আছে। সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে যদি বলি, মধ্যবিত্ত শ্রেণির কবি-লেখকরা তো নিজেরা জড়িত না।যারা ওই সময় ঢাকাতে পড়ছিল তাদের যদি রাজাকার বলা হয়, তাহলে? মধ্যবিত্ত শ্রেণির চরিত্রটা কী? আমাদের সেসময় পরীক্ষা দেবার প্রশ্ন আসে না, কারণ আমরা একটু অসুবিধাগ্রস্ত ছিলাম। আমাদের বন্ধুবান্ধব যারা পরীক্ষা দিয়েছিল, তারাই এখন সুশীল।
সংবাদ প্রকাশ : এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন আপনি?
আফসান চৌধুরী : বাংলাদেশের একটা ভবিষ্যৎ না, অনেকগুলো ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বড়লোক শ্রেণির ভবিষ্যৎ সীমিত হয়ে আসবে। যেহেতু বড়লোক সংখ্যা এত বেশি বেড়েছে, তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। তার একটা বড় উদাহরণ হচ্ছে যে পরিমাণ গণমাধ্যম আসছে, যে পরিমাণ অনলাইন মিডিয়া তৈরি হচ্ছে, এক বছরে বোধ হয় একশ অনলাইন মিডিয়া এসেছে। এরা কেন এসেছে? নিজেদের মধ্যে ঝগড়া সামলানোর জন্য, মিডিয়া থাকবে সুবিধা হয়। এ জন্য বোঝাই যাচ্ছে, সংকটটা অনেক বেশি বড়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি যারা চাকরি ছাড়া টিকতে পারবে না, যাদের কোনো উপায় থাকবে না, দাঁড়ানোর মতো কোনো অবস্থান নাই, ফলে সেই শ্রেণিটাও তৈরি হচ্ছে। এদের আমি কী বলব লুম্পেন মধ্যবিত্ত। লুম্পেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি হচ্ছে বড়লোকের মধ্যে দ্বন্দ্বটার কারণে। বড়লোকের এই দ্বন্দ্ব যে, আওয়ামী লীগের মধ্যে যে পরিমাণ ক্যান্ডিডেট হচ্ছে, তার সমানসংখ্যক বিদ্রোহী ক্যান্ডিডেন্ট। তারা তো বিদ্রোহ করবে না, তারা বলবে আমাদের নমিনেশন দাও। তার মানে সকল জায়গায় যেখানে সুবিধার জায়গা আছে, সেখানে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। দ্বন্দ্বটা অনেক কম হচ্ছে, যেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণি কম। তারা নিজেদের অবস্থাটা ভালো বুঝে, তারাও ভালোও করছে। এটা অস্বীকার করে লাভ নাই। যেটা হবে যে, এই ‘ক্রনি ক্যাপাটিলিজম’ যেটা হচ্ছে, অনলাইনে চুরি ব্যবসাটা শুরু হলো। অনলাইনে চুরি ব্যবসাটা তো অবধারিত ছিল। এই দেশের মানুষের হাতে যে পরিমাণ পয়সা, মধ্যবিত্ত শ্রেণি…যে পরিমাণ পয়সা উপার্জন করেছে, কল্পনা করা যায় না। সবাই তো দেখি এক লাখ, দেড় লাখ টাকা দিয়ে মোটর সাইকেল কেনে। তারা এত যে দুঃখ পায়, এই টাকাগুলো পায় কোত্থেকে? এর কারণ হচ্ছে, এই শ্রেণির স্ট্র্যাটেজিটা হচ্ছে আমি কেঁদে কেঁদে বলব আমাকে কিছু দাও। যদি তুমি কিছু না পেয়ে থাকো, তাহলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করো। কিন্তু সেটাও করবে না। সবচেয়ে দুর্বল হচ্ছে এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি। বিশ্বে যে পরিবর্তন হচ্ছে, রাজনৈতিক সমাজ থেকে অর্থনৈতিক সমাজে পরিণত হচ্ছে। আমাদের পরিচিতিটাও অর্থনৈতিকভাবে। যে অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না, সে টিকতে পারবে না। পরনির্ভরশীল শ্রেণি যারা তারা আরও দুর্বল হবে। এদের কে রক্ষা করতে চাইবে। আর রক্ষা করে লাভটা কী? এ জন্য আমি মনে করি বাংলাদেশে যে স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল, সেখানে ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিয়েছে। এবং এই প্রান্তিক শ্রেণি সবল। হ্যাঁ, সুশীল সমাজ, ফেসবুক সমাজ অত্যন্ত কষ্টে আছে। সবাই কষ্টে নাই, অনেকেই কষ্টে আছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণি যাদের বলি তারাও কষ্টে আছে। কিন্তু তার কষ্টে কেউ পাত্তা দিতে চায় না। পাত্তা দেবে কেন?