আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জঙ্গি সংগঠনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে তালেবানরা। তাদের দাবি, এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।
তালেবানের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে মার্কিন সেনাদের চেয়েও বেশি তালেবান সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তালেবানরা। মুখপাত্র জানায়, এই ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২৮ তালেবান সেনা নিহত হয়েছেন।
মার্কিন সেনাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখপাত্র বলেন, " আগামী ৩১ আগস্টে মধ্যেই সব বিদেশি সেনাকে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে হবে। সময়সীমা বাড়ানো হবে না। কোনও কারণ নেই।”
তবে জঙ্গি সংগঠন তালিবানের সেই যুক্তি মানতে নারাজ আফগানিস্তানের কার্যকরী প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, "হাতে থাকা প্রতিটা প্রমাণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, তালেবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক থেকে আইএসআইএস-ক'র উৎপত্তি। তালেবান আইএস যোগ অস্বীকার করা অনেকটা পাকিস্তানের 'কোয়েটা সুরা' যোগ অস্বীকার করার মতো। গুরুর থেকে ভালই শিক্ষা পেয়েছে তালেবান।"
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, “তাদের বলছি, যারা এই হামলা চালিয়েছে। যারা আমেকিার ক্ষতি চায়, তারা জেনে রাখুন, আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলব না। আমরা আপনাদের খুঁজে খুঁজে বের করব।”
হামলাকারীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেন, “আপনাদের চরম মূল্য দিতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করব।”
বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো।
১৫ আগস্ট তালেবানরা ক্ষমতা দখল পর থেকেই হাজার হাজার মানুষ বিদেশি বিমানে দেশ ছাড়ার চেষ্টায় আছেন। প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে কাবুল বিমানবন্দরে। এর আগে গোলাগুলি ও পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়। কয়েক দিন ধরেই পশ্চিমা দেশগুলো কাবুলের বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সতর্ক করে আসছিল।