রাশিয়ার ক্রিমিয়া ব্রিজে হামলার ঘটনায় ইউক্রেনে নতুন উদ্দমে আক্রমণ চালাচ্ছে দেশটি। ইউক্রেনে হামলার প্রায় সাড়ে সাত মাস পর নতুন করে রাশিয়ার তুমুল আক্রমণাত্মক ভাব দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে কাজাখাস্তানে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন এরদোয়ান-পুতিন। সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে ধারণা করতে পারছে না কেউই।
অন্যদিকে ইউক্রেনের ন্যাটোভুক্ত মিত্ররা নতুন নতুন আধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে। এর মধ্যে আছে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইউক্রেন এই উদ্যোগকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনকে যতদিন প্রয়োজন সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেছ জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো।
কাজাখাস্তানের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে পুতিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি আলোচনা শুরুর প্রস্তাব জানাতে পারেন তিনি। এরদোয়ানের মধ্যস্থতায় এর আগে ইউক্রেনকে শস্য রপ্তানি করার সুযোগ দিয়েছিল রাশিয়া। তবে কি এবার তারই মধ্যস্থতায় জেলেনস্কির সাথে শান্তি আলোচনা শরু করবেন পুতিন?
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতের আগেই বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) নতুন করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং আবাসিক ভবন।
পুতিন আশা করছেন তুরস্কে একটি গ্যাস হাব বানাবেন তিনি। তুরস্ক দিয়ে ইউরোপে গ্যাস পাঠানোর নতুন সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এরদোয়ানের সম্মতির প্রয়োজন হবে। তাহলে কি এরদোয়ানের কথা মেনে ইউক্রেনের সাথে শান্তি আলোচনার পথ প্রশস্ত করবেন পুতিন?