গত ৮ অক্টোবর ভয়ানক বিস্ফোরণে ধসে যায় ক্রিমিয়া সেতুর একাংশ। ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়ার সাথে রাশিয়ার একমাত্র সংযোগ সড়ক এই ব্রিজটি। এই বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এই ঘটনাকে ইউক্রেনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলেও উল্লেখ করেন।
রুশ কতৃপক্ষ জানায়, এই বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছে। বিবিসি প্রকাশিত বিস্ফোরণের ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার সময় বিস্ফোরণবাহী গাড়ির আশেপাশে আরও কয়েকটি গাড়ি ছিল। ফলে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ব্যাপারে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার বাস্ত্রিকিনের সঙ্গে বৈঠককালে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের গুয়েন্দা সংস্থা এই কাজটি করেছে। রাশিয়ার বেসমারিক এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটিতে আক্রমণকে সন্ত্রাসী কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আলেকজান্ডার বাস্ত্রিকিন বলেন, “রাশিয়ার এবং কিছু বাইরের দেশের নাগরিক এই আক্রমণে সহায়তা করেছে।”
এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার দায় নেওয়া হয়নি। বরং তারা এই ঘটনার সাথে ইউক্রেনের জড়িত থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
তবে ঘটনার দিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক এই ধ্বংসকে ‘সবে শুরু’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করা হবে। ইউক্রেন থেকে চুরি করা সবকিছু ফিরিয়ে দিতে হবে। রাশিয়ার দখল করা সবকিছু মুক্ত করতে হবে।”
১৯ কিলোমিটারের ক্রেচ সেতুটি ২০১৮ সালে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেতুটির উদ্বোধন করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।