কিছুক্ষণের জন্য ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল কিছুক্ষণের জন্য হ্যাকারদের কবলে চলে গিয়েছিল শনিবার (৯ অক্টোবর)। বিবিসি জানায়, লাইভ ‘নিউজ বুলেটিন’ চলাকালে হঠাৎ করেই টেলিভিশনের পর্দায় একটি মুখোশের ছবি ভেসে ওঠে। তারপরই সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একটি ছবি দেখা যায়, যার নিচে আগুন জ্বলছে। তার নিচে মাশা আমিনি এবং বিক্ষোভে নিহত আরও তিন নারীর ছবি দেখা যায়।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সংবাদ উপস্থাপনের সময় এ কাণ্ড ঘটে। পরে নিজেদের ‘আদালত আলি’ বলে পরিচয় দেওয়া একটি হ্যাকার গ্রুপ এর দায় স্বীকার করেছে বলে রোববার জানিয়েছে বিবিসি।
মাশাসহ আরও অন্তত তিন নারী বিক্ষোভকারী গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল হ্যাক করা হয় বলে জানায় বিবিসি।
টিভি স্ক্রিনে মুখোশের পাশপাশি ‘আমাদের সঙ্গে যোগ দিন এবং আওয়াজ তুলুন’ এবং ‘আমাদের তরুণদের রক্ত তোমার থাবা থেকে ঝরছে’ লেখা ক্যাপশন ভেসে ওঠে।
যদিও হ্যাকারা কয়েক সেকেন্ডের জন্য এ বিঘ্ন ঘটাতে পেরেছিল। তারপরই সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায় এবং বিব্রত মুখের সংবাদ পাঠককে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায়।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিবাদ খুব একটা দেখা যায় না।