নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল ইরান। রাস্তায় নেমে, আগুন জ্বেলে, হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে নানাভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ইরানের নারীরা। ইরান সরকারের দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনেও আন্দোলন থামানো যাচ্ছে না। নারী স্বাধীনতার লক্ষ্যে চলমান এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে তা কেউ জানে না।
এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। ইরানের নারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজ নিজ অঞ্চলে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ।
রোম, জুরিখ, প্যারিস, লন্ডন, সিওল, ওকল্যান্ড এবং আমেরিকায় বসবাসরত ইরান প্রবাসীরা আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। সেখানে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয়রাও। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইরান প্রবাসীরা হোয়াইট হাউসের সামনে অবস্থান নেন এবং ব্যানার, ফেস্টুন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন।
ইরানীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক আযাদিহ সামি বলেন, “আমার বাবা-মা ইরানের। আমি কখনো ইরানে না গেলেও আমি সেখানকার নারীদের করুণ অবস্থা সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানি। আমরা নারীরা এখানে যে স্বাধীনতা পাই, তার এক শতাংশও ইরানের নারীরা পান না। আমি আমার বোনদের আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি।”
স্পেনের মাদ্রিদে বিক্ষোভ করেছেন ইরানীয়রা। তারা পোস্টার টানিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন। কয়েকজন নারী রাস্তায় পড়ে কেঁদেছেন, কেউ কেউ নিজেদের চুল কেটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের মাশা আমিনি, মাশা আমিনি বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ইরানে আন্দোলকারীদের প্রতি কঠোর অবস্থানে আছে ইব্রাহিম রাইসির সরকার। বিক্ষোভকারীরা এখন সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করছে। তারা মোল্লাতন্ত্রের পতন দাবি করে স্লোগান দিচ্ছে। আন্দোলনে এখন পর্যন্ত সেখানে ৮৩ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তবে মৃতের সংখ্য প্রতিদিন বাড়ছে। ইরানে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সরারসরি খবর পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আন্দোলন দমাতে ব্যপক ধর-পাকড় চালাচ্ছে ইরান সরকার।