হিজাব ইস্যুতে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ তীব্র হচ্ছে প্রতিদিন। কঠোর দমন-পীড়নেও আন্দোলন থামাতে পারছে না ইরান সরকার।
নরওয়েভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের আন্দোলনে প্রাণ গেছে অন্তত ৮৩ জনের। রয়টার্স জানায়, বিক্ষোভ চলমান। সম্প্রতি আন্দোলনে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়া হাদিস নাযাফির মৃত্যুর পর আন্দোলন আরও চাঙা হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যে আন্দোলনকারীদের প্রতি কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির সেনাবাহিনী। ২০১৯ সালের আন্দোলনের পর এটিই সবচেয়ে বড় আন্দোলন ইরানে।
ইরানে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে সরাসরি তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে টুইটারে আসছে আন্দোলনের বেশ কিছু ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায় মোল্লাতন্ত্রের পতন চাইছে আন্দোলনকারীরা। ফলে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন।
মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ইরানের বেশির ভাগ এলাকায়। হাজার হাজার নারী চুল খুলে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।
‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরার অপরাধে মাশা আমিনিকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের বিতর্কিত ‘নৈতিকতা পুলিশ’। তাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় এই নারীর। তার জানাজার পরপরই বিক্ষোভ শুরু হয় এবং তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইরানজুড়ে।