গর্ভপাতের সময় বিবাহিত ও অবিবাহিত নারীদের মধ্যে পার্থক্য করা অসাংবিধানিক। নিরাপদ গর্ভপাতকে প্রত্যেক নারীর আইনি অধিকার ঘোষণা দিয়ে এই রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
এনডিটিভি জানায়, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) যুগান্তকারী এই রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারকের একটি বেঞ্চ। তারা বৈবাহিক ধর্ষণকেও ধর্ষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
রায়ে বলা হয়, গর্ভধারণ আইনের আওতায় থাকা ধর্ষণের সংজ্ঞায় বৈবাহিক ধর্ষণকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদালত বলেন, “বিবাহিত নারীরাও স্বামী কর্তৃক যৌন নির্যাতন অথবা ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের সাধারণ সংজ্ঞা হলো, কোনো ব্যক্তির অনিচ্ছায় বা সম্মতি ছাড়া তাকে যৌন মিলনে বাধ্য করা। তাই বৈবাহিক সম্পর্কও এর আওতায় পড়ে।” আশা করা হচ্ছে এই রায়ের পর তীব্র বিতর্কিত বৈবাহিক ধর্ষণের মামলাগুলো নতুন দিশা পাবে।
আদালতের বক্তব্য অনুসারে, নারীর বৈবাহিক পরিচয় তার গর্ভপাতের অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করতে পারে না। ফলে এখন থেকে ভ্রূণের বয়স ২৪ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে গর্ভপাত করতে পারবেন অবিবাহিত নারীরাও।
আদালত বলেন, অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের প্রভাব নারীর স্বাস্থ্য ও মন উভয়ের জন্যই বিরূপ। তাই কোনো নারীকে যদি নিজের অনিচ্ছায় গর্ভধারণ করতে হয়, তবে তা হবে অবৈধ ও অসাংবিধানিক।
২৫ বছর বয়সী এক নারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর গর্ভধারণ করেন সেই নারী। তবে ওই ব্যক্তি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু অবিবাহিত হওয়ায় সেই নারীকে গর্ভপাত করতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।