জনসম্মুখে চুল বেঁধে ভাইরাল হওয়া সেই হাদিস নাযাফিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। ইরান ওয়্যার জানায়, ২০ বছর বয়সী এই আন্দোলনকারীকে ছয়টি গুলি করা হয়েছে।
হাদিসের পেট, ঘাড়, বুক ও হাতে গুলি লেগেছিল। তার মৃত্যুতে আন্দোলন আরও জেগে ওঠেছে। তার কবরের পাশে বসে চুল কেটেছেন আরও কয়েকজন নারী। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাদিসের কবরের পাশে জড়ো হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
হাদিসের মৃতুত্যে আরও ফুঁসে ওঠেছেন আন্দোলনকারীরা। তারা আন্দোলনের ভিডিও প্রকাশ করছেন টুইটারে। ভিডিওতে দেখা যায় রাস্তায় আরও বড় করে আগুন জ্বালাচ্ছেন তারা। নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি উল্টে দিচ্ছেন এবং থেমে থেমে সংঘর্ষ হচ্ছে তাদের সাথে সাথে। তবে ইরান সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখায় সরাসরি তথ্য প্রবাহে বিঘ্ন ঘটছে।
মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৭৫ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ইরানের বেশিরভাগ এলাকায়। হাজার হাজার নারী চুল খুলে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।
‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরার অপরাধে মাশা আমিনিকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের বিতর্কিত ‘নৈতিকতা পুলিশ’। তাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় এই নারীর। তার জানাজার পরপরই বিক্ষোভ শুরু হয় এবং তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইরানজুড়ে।