সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী বিপুল কর ছাড় ঘোষণা দেওয়ার পর পাউন্ডের রেকর্ড দরপতন হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে আইএমএফ সতর্ক করে বলেছে, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করায় মূল্যস্ফীতির কারণে ইতোমধ্যে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এর মধ্যে কর ছাড় দিলে তা হিতে বিপরীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
বিবিসি জানায়, অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ারতেং ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ কর ছাড়ের ঘোষণা দেন শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর)। সংক্ষিপ্ত এ বাজেটে ঘোষণা করা হয়, ২০২৭ সালের মধ্যে ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ড কর ছাড় দেবে যুক্তরাজ্য। তবে এতে সরকারের ঋণ বাড়ার সাথে বাড়তে পারে সুদের হার।
যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অর্থনীতির গতি বাড়বে। তাছাড়া মানুষের টাকা বাঁচবে অনেক। ফলে বাড়বে ভোগ। ভোগ বাড়লে অর্থনীতিতে উৎপাদন বাড়বে।
আইএমএফ বলছে, কর ছাড়ে অর্থনীতির গতি বাড়লেও চলমান মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে এই আর্থিক সংস্থাটি। তাছাড়া এই সিদ্ধান্তের ফলে বৈষম্য বাড়বে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে আইএমএফ।
যুক্তরাজ্যে আয়করের সর্বোচ্চ হার বর্তমানে ৪৫ শতাংশ। নতুন বাজেটে এই হারে ছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২০২৪ সাল থেকে আয়করের ভিত্তি হার ১ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে। এতে উপকৃত হবেন প্রায় ৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ। আবার ইংল্যান্ড ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের যেসব মানুষের বার্ষিক আয় দেড় লাখ পাউন্ডের বেশি, তাদের আয়কর কমবে ৫ শতাংশ। শীর্ষ পর্যায়ের এই কর হৃাসের কারণে প্রায় ৬ লাক ৬০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।