রাশিয়ার ইজেভস্ক শহরের একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় ৭ শিশুসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়ে। আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। এর আগে ছয়জন নিহত এবং ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।
আল-জাজিরা জানায়, সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই হামলা চালানো হয়। হামলাকারী আত্মহত্যা করায় হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে হামলাকারীর পরনে ছিল নাৎসি বাহিনীর লগোসহ কালো টি-শার্ট।
এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপর সেখানে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবা। জানা যায়, শহরের ৪৪ নম্বর স্কুলে এই হামলা চালানো হয়েছে। উদমুর্তিয়ার গভর্নর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্কুল ভবন থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দ্রুত উদ্ধার করা হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর মাত্র সাত মাসের মধ্যেই যুদ্ধ করার লোক পাচ্ছে না রাশিয়া। সম্প্রতি রিজার্ভ থেকে তিন লাখ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ঘোষণার পরপরই ফুঁসে ওঠে রুশরা। তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় আটক করা হয় প্রায় ১ হাজার ৩০০ জনকে। পাশাপাশি দেশ ছাড়তে শুরু করে যুদ্ধে যাওয়ার উপযুক্ত যুবকরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) একটি ডিক্রি জারি করেছেন পুতিন। এতে বলা হয়েছে, কোনো সৈন্য যদি আত্মসমর্পণ করে, সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যায় অথবা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর্মী, ব্যাংকার ও গণমাধ্যমকর্মীদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে না বলে উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
পুতিনের ওই ঘোষণার পর থেকেই রাশিয়াজুড়ে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।