রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনে যা যা থাকছে

আসিফ মাহমুদ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৪:১২ পিএম

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রয়াত রাণি দ্বিতীয় এলিযাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। রানিকে শেষ শদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বনেতারা। দূর দুরান্ত থেকে এসেছেন রানির হাজারো শুভাকাঙ্ক্ষী।

ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে উপস্থিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি ধ্রুপদ মুর্মূ, জাপানের রাজা নারুহিতো, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি আলবানিজ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ব্রাজিল, জার্মানি এবং ইতালির প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছেন রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়।

রানিকে চিরবিদায় জানাতে উপস্থিত থাকবেন প্রায় ২ হাজার মানুষ। সেখানে থাকবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসসহ অন্যান্য রাজনীতিবিদরা। সন্ধ্যায় রানিকে কবরে শায়িত করার মাধ্যমে শেষ হবে ১০ দিনের আনুষ্ঠানিক শোক।

পুরো আনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য।

শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে উইন্ডসোর প্রাসাদে সন্ধ্যায়। সেখানে উপস্থিত থাকবেন রাজা চার্লসসহ রানির পরিবারের ১৮ সদস্য। রানির কফিন ওয়েস্টমিনিস্টার হল থেকে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে নিয়ে আসা হবে। এরপর ১২২ বছর যাবত সংরক্ষিত রাষ্ট্রীয় কামানবাহী গাড়ি দিয়ে কফিন নিয়ে যাওয়া হবে ওয়েলিংটন আর্চে। এই গাড়িতে করেই রানি এলিযাবেথের দাদী রানি ভিক্টোরিয়া, বাবা রাজা জর্জ, এবং তার প্রথম প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিলের কফিন বহন করা হয়েছিল। প্রায় আড়াই টন ওজনের গাড়িটিকে দড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে যাবেন ১৪২ জন নৌ সদস্য।

বেলা ১১টায় মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পর একে একে শদ্ধা জানাবেন উপস্থিত সকলে। ১১টা ৫৫মিনিটে পালন করা হবে ২মিনিটের রাষ্ট্রীয় নীরবতা। বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্টজনেরা। বিকেল ৪টায় রানির কফিন নিয়ে যাওয়া হবে ওয়েলিংটন আর্চে। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার কফিন নিয়ে যাওয়া হবে উইন্ডসোর প্রাসাদে।

উইন্ডসোর প্রাসাদে রানির কফিনের পাশে একান্ত কিছু সময় কাটাবেন রানির পরিবার। এরপর প্রাসাদের কবরস্থানে স্বামী প্রিন্স ফিলিপের পাশে শায়িত হবেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

 

তথ্যসূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও ইন্টারনেট