মিয়ানমারের জান্তা সরকার গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করছে এবং জনগণের ওপর ভয় ও নিপীড়নের শাসন চালাচ্ছে। তাই তাদের কাছে অর্থ ও অস্ত্র পৌঁছানো থামাতে হবে বিশ্বকে।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। পাশাপাশি এ বিষয়ে বিশ্বকে আর দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন তারা।
জান্তা সরকার মিয়ানমারে নির্বিচার হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার বলছে, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সশস্ত্র এই সন্ত্রাসীরা দেশের ক্ষতি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে আরও বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ। সংস্থাটি আরও বলেছে, জান্তা সরকার অর্থবহ ও টেকসই উপায়ে দেশ পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে এক অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং গ্রেপ্তার করছে হাজারো জান্তাবিরোধীকে।