রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউরোপে গ্যাস পাঠানো কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এর জন্য দায়ী রাশিয়ার রপ্তানির ওপর ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা। তবে দেশটির গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি ইউরোপ।
নিজেদের গ্যাসের ওপর ইউরোপের নির্ভরতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ফলে সংকট তৈরি হচ্ছে ইউরোপে। তাই ইউরোপ বাধ্য হয়ে গ্যাস কিনছে রাশিয়ার বন্ধু চীন থেকে। জরুরি জ্বালানির বিষয়ে রাশিয়ার এমন আচরণের কারণে দেশটির তেল-গ্যাস কেনা কমিয়ে দিচ্ছে ইউরোপ।
আসন্ন শীতকালে ইউরোপে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাবে। ফলে শীতের আগেই গ্যাস মজুদ করছে তারা। ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে প্রয়োজনীয় গ্যাসের ৮০ শতাংশ মজুদ করা হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৪০ লক্ষ টন এলএনজি কেনা হয়েছে চীন থেকে। এই পরিমাণ গ্যাস ইউরোপের ছয় মাসের ব্যবহার্য গ্যাসের ৭ শতাংশ। তবে রাশিয়া থেকে আমদানি যত কমবে, চীন থেকে গ্যাস আমদানি ঠিক ততোটাই বাড়বে।
তবে উল্লেযোগ্য বিষয় হলো, ২০২১ সালের এই সময়ের তুলনায় ২০২২ সালে রাশিয়া থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি গ্যাস আমদানি করেছে চীন। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার গ্যাসই ইউরোপে পাঠাচ্ছে চীন। আর সত্যিই যদি এমন হয়, তবে রাশিয়ার গ্যাস কেনা থেকে ইউরোপ কখনো সরে আসতে পারবে কি না সেই প্রশ্নও ওঠছে।
আবার আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীন-রাশিয়া বন্ধুত্বও গাঢ় হচ্ছে। তাই চীনের ওপর নির্ভরতা আবার ইউরোপের জন্য নতুন সংকটের বীজ বপন করতে পারে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা।